• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

অসুস্থতার কারণে এবারেও ভোট দিতে পারলেন না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

কার্যত শয্যাশায়ী রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।মীরা ভট্টাচার্য জানান, রাজনীতি সম্পর্কে নিয়মিত খবর রাখেন তিনি।প্রতিদিন খবরের কাগজ পড়ে শোনাতে হয় তাকে।

তীব্র উত্তেজনার মধ্য চলছে কলকাতা পুরসভার ভোটগ্রহণ। এরই মধ্যে বন্দি থাকতে হল একদা বাড়িতেই রাজ্যের প্রধান অন্যতম ভোটযুদ্ধের সেনাপতি তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে।

ভোট দিতে এলেন তার স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। মায়ের সঙ্গে ছিলেন মেয়ে সুচেতনা। ভোট হলেই তাঁদের সঙ্গেই ভোট দিতে আসতেন বুদ্ধদেব। কিন্তু গত কয়েকবার নির্বাচনে ভোট ভট্টাচার্য দিতে আসেননি তিনি।

গত বিধানসভা নির্বাচনেও ভোট দেননি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনীতি সম্পর্কে উৎসাহ এখনও বরাবরের মতোই রয়েছে। কিন্তু বাধ সেধেছে স্বাস্থ্য। মীরা ভট্টাচার্য ভোট দিতে এসে জানালেন, সিওপিডি’র পুরনো সমস্যা তো রয়েইছে। সেই সঙ্গে দৃষ্টি শক্তি ক্ষীণ হয়ে গিয়েছে।

কার্যত শয্যাশায়ী রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে মীরা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, রাজনীতি সম্পর্কে নিয়মিত খবর রাখেন তিনি। প্রতিদিন খবরের কাগজ পড়ে শোনাতে হয় তাকে।

রাজনীতি সম্পর্কে বরাবরের মতো প্রখর আগ্রহ থাকলেও শারীরিক সক্ষমতার অভাবের কারণে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আসতে পারলেন না তিনি। সমস্যা বলতে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন তার স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য।

উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে একটি লিখিত বিবৃতিতে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। পরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য একটি ভয়েস বার্তায় একই আর্জি জানিয়েছিলেন। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ভোটের প্রচারে দেখা যায়নি।

২০১৬ র বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোটের হয়ে প্রচার করেছিলেন তিনি। ২০১৯-র লোকসভা ভোটের আগে বামফ্রন্টের ব্রিগেডের সভায় এসেছিলেন তিনি। তবে মঞ্চে ওঠেননি। ব্রিগেড ময়দানে গাড়িতেই ছিলেন তিনি।

কিছুদিন আগেই ওরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বেশ কিছুদিন হাসপাতালে থাকার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। কোভিড সংক্রমিত হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যও।