বাংলা, পাঞ্জাব, সীমান্তবর্তী এলাকায়। অসমের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজরদারির সীমানা বৃদ্ধির পর থেকেই সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর নাগাল্যান্ডে অসফ রাইফেলস-এর জওয়ানদের গুলিতে সাধারণ নাগরিকের প্রাণ হারানোর ঘটনার আরও গলার জোর বাড়িয়ে দিল তার। দুই ইস্যু নিয়েই মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠকে কেন্দ্রবিরোধী সুর চড়ালেন মমতা।
রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলা দুই দিনাজপুর থেকে পুলিশকে সতর্ক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, বিএসএফ জওয়ানরা মাঝেমধ্যেই গ্রামে ঢুকে পড়ে। দেখবেন এভাবে যেন দুমদাম এলাকায় ঢুকে পড়তে না পারে।
এদিন প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের আইসি’দের নির্দেশ দেন, আপনারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখুন। যাতে কেউ দুম করে ভেতরে না ঢুকে পড়তে পারে। প্রয়োজনে বিএসএফ এর ডিজিদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলুন। শনিবার নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওটিং গ্রামে সন্ত্রাসদমন অভিযান চলার সময়ে প্যারা স্পেশাল ফোর্স এর গুলিতে ১৪ জন নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়।
এই নিয়ে তোলপাড় হয়েছে দেশষ সংসদে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল। ঘটনার দিনই টুইট করে নিন্দা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কর্ণজোড়ায় দুই দিনাজপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ তুনে মমতা বললেন, দেখলেন তো নাগাল্যান্ডে কী হল? শীতলকুচিতেও তো গুলি চালিয়ে তিনজনকে মেরে ফেলেছে।
কিছুদিন আগে কোচবিহারেও যে বিএসএফ-এর গুলিতে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে, সেই প্রেক্ষিতেই এদিন বৈঠক চলার সময়েই বিএসএফ-এর টহলদারি নিয়ে জেলা পুলিশের কাছে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ওরা গ্রামে গ্রামে ঢুকে পড়ছে৷ কিন্তু নিয়মানুযায়ী পুলিশকে না জানিয়ে কিছু করা যায় না। তাই বিএসএফ-এর গতিবিধির দিকে নজর রাখতে বলেন। পুলিশ এবং বিডিও–সবাইকেই সতর্ক থাকতে বলেন।