• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মমতার কংগ্রেস ভাবনায় বাদ সাধল শিবসেনা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুম্বাই সফরে তার সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন শিবসেনা মুখপাত্র, রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত এবং উদ্ধব-পুত্র আদিত্য ঠাকরে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুম্বই সফরে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। দিদির সঙ্গে হোটেলে গিয়ে দেখা করে এসেছিলেন শিবসেনা মুখপাত্র, রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত এবং উদ্ধব-পুত্র আদিত্য ঠাকরে।

মমতা মুম্বই থেকে ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’র সম্পাদকীয়তে স্পষ্ট করে লিখে দেওয়া হল, কোনওভাবেই সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোট সম্ভব নয়।

সেখানে লেখা হয়েছে, আঞ্চলিক রাজনীতির প্রেক্ষাপট থেকে সর্বভারতীয় রাজনীতিকে দেখা ঠিক হবে না। এখন কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে সর্বভারতীয় স্তরে জোটের কথা ভাবা মানে ফ্যাসিস্ট শক্তিকে অক্সিজেন জোগানো।

মমতা মুম্বই থেকে ফেরার পর শিবিসেনার মুখপত্রে এমন সম্পাদকীয় দেখে অনেকেই বলছেন, এ আসলে তৃণমূলকেই বার্তা দেওয়া। একটা দল যখন তার মুখপত্রে সম্পাদকীয়তে কিছু লেখে তখন ধরে নিতে হয় সেটাই সেই দলের রাজনৈতিক অবস্থান।

এ থেকে স্পষ্ট শিবসেনা মমতাকে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছে, লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে। সেই লড়াইয়ে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কিছু ভাবা মানে অবাস্তব ব্যাপার। সামনার সম্পাদকীয় সম্পর্কে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সঞ্জয় রাউত। তাঁর কথায়, কংগ্রেসের সঙ্গে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। মহারাষ্ট্রে আমাদের সঙ্গেও কংগ্রেসের মতবিরোধ, পার্থক্য রয়েছে। তাও আমরা একসঙ্গে সরকার চালাচ্ছি।

এ ব্যাপারে মহারাষ্ট্রের থেকে ভাল উদাহরণ আর কী হতে পারে? এখানেই থামেননি সঞ্জয়। তার কথায়, দেশের অনেক রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তিশালী গণভিত্তি রয়েছে রাজস্থান, ছত্তীসগড়ে তারা সরকার চালাচ্ছে। কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রে তাঁদের মাটি শক্ত। ফলে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কিছু ভাবাই উচিত নয়।

মুম্বইয়ে দাঁড়িয়ে মমতা সোজাসাপ্টা বলে দিয়েছিলেন, ইউপিএ আবার কী, ইউপিএ বলে এখন কিছু নেই। এদিন সঞ্জয় রাউত বলেছেন, ইউপিএ-কে শক্তিশালী করেই সামনের লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এখানে পরীক্ষানিরীক্ষার কোনও অবকাশ নেই।

সামনার এই সম্পাদকীয় নিয়ে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেছেন, শিবসেনা সর্বভারতীয় ছবিটা মনে রেখে তাদের মুখপত্রে এই কথা লিখেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হল তৃণমূল বাংলা আর দেশকে গুলিয়ে ফেলছে।