বিশ্বে এবার আতঙ্কের আরও এক নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘ওমিক্রন’। এহেন সময়ে আফ্রিকার দেশগুলি থেকে এবার ফ্রান্সে হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাসের এই নতুন স্ট্রেন। রবিবার এক রিপোর্টে ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত ১৪ দিনে আফ্রিকা ফেরত আটজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের ওমিক্রন স্ট্রেন রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কারণ, পরীক্ষার পর আক্রান্তদের শরীরে করোনা অন্য স্ট্রেন যেমন আলফা, বেটা, গামা বা ডেল্টা পাওয়া যায়নি। বলে রাখা ভাল সম্প্রতি ফ্রান্সের পড়শি দেশগুলিতে একাধিক ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রন স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে।
এই বিষয়ে ফরাসি বিদেশমন্ত্রী পরিস্থিটির বেশ ইতিমধ্যে অলিভিয়ের ভেৱান বলেন, যে মুহূর্ত থেকে আমাদের আশপাশে এই স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে এটা সম্ভব যে আমাদের এখানেও সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে। মোকাবিলায় কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে একমত হয়ে আফ্রিকার সাতটি দেশ থেকে বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে ফ্রান্স।
উল্লেখ্য, বিশ্বে ক্রমশ বাড়ছে করোনা নতুন প্রজাতিতে আক্রান্তের সংখ্যা। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরা নেদারল্যান্ডসে যে ৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ১৩ জনের শরীরে ওমিক্রনের স্ট্রেন মিলিছে বলে খবর।
করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রন সংক্রমণ আটকাতে ইতিমধ্যেই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিষেদ্ধাজ্ঞা জারি করার পথে ইজরায়েল। প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট জানান, সোমবার রাত থেকে আগামী ১৪ দিন এই নিয়ম জারি থাকবে। ইজরায়েলে একজনের শরীরে ওমিক্রন সংক্রমিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে
। আরও সাত জনের সোয়াব পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। আপাতত তাঁদের নিভৃতাবাসে রাখা হয়েছে। বেনেট বিবৃতি দিয়ে জানান, যাঁরা সম্প্রতি বিদেশ থেকে ইজরায়েলে ঢুকেছেন, তাঁদের কোয়ারান্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি বিবৃতিতে জানা গিয়েছে, অ্যাপের মাধ্যমে করোনা আক্রান্তের তথ্য নিয়ে সরকার গুরুত্ব বুঝে ভবিষ্যতে পদক্ষেপ করবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বৎসোয়ানা, জিম্বাবোয়ে, হংকং, বেলজিয়ামের পর শনিবার জানা গিয়েছে, ব্রিটেন, জার্মানি ও চেক প্রজাতন্ত্রেও ওমিক্রনে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
রবিবার তালিকায় নাম তুলেছে অস্ট্রেলিয়াও। দক্ষিণ ওয়েলসে একজনের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়েছে। এর মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ (ডব্লুএইচও) বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। করোনার নতুন এই প্রজাতি ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড -১৯ টেকনিক্যাল লিড ডা.মারিয়া খারকোভ।