• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষা ৫, জনসংখ্যার নিরিখে পুরুষদের তুলনায় মহিলার সংখ্যা বেশি

লক্ষণীয় পরিবর্তন। ১৯৯২ সাল থেকে শুরু হওয়া ন্যাশানাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভেতে এই প্রথমবার পুরুষদের জনসংখ্যাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে মহিলাদের জনসংখ্যা।

প্রতীকী ছবি (Photo: SNS)

লক্ষণীয় পরিবর্তন। ১৯৯২ সাল থেকে শুরু হওয়া ন্যাশানাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভেতে এই প্রথমবার পুরুষদের জনসংখ্যাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে মহিলাদের জনসংখ্যা। বর্তমানে দেশে ১০০০ জন পুরুষের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা ২০ জন বেশি অর্থাৎ ১০২০ জন। ভারতের জনসংখ্যার নিরিখে অতীতের সমীক্ষাগুলোয় পুরুষদের সংখ্যাই বেশি ছিল।

ন্যাশানাল ফ্যামিলি হেলথ সমীক্ষার তথ্য বলছে ২০১৫-১৬ সালে ১০০০ জন পুরুষের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা ছিল ৯৯১ জন। নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ডক্টর বিনোদ কুমার পাল ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ এনএফএইচএস-৫’র সমীক্ষা সম্বলিত তথ্য পেশ করেন।

ন্যাশানাল ফ্যামিলি হেলথ সমীক্ষা প্ত’র প্রথম পর্বে ২২ টি বাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সমীক্ষা রিপোর্ট ২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশ করা হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্বে অরুণাচল প্রদেশ, ওড়িশা, পুদুচেরি, চন্ডীগড়, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, দিল্লি, পাঞ্জাব, উত্তরাখন্ড ও উত্তরপ্রদেশে ন্যাশানাল ফ্যামিলি হেলথ সমীক্ষা চালানো হয়েছিল এনএফএইচএস-৫’র সমীক্ষা পর্বে দেশের ৭০৭ টি জেলার ৬.১ লক্ষ পরিবারে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। ৭,২৪,১১৫ জন মহিলা ও ১০,১,৮৩৯ জন পুরুষকে সমীক্ষা করা হয়।

পাশাপাশি টিআরএফ অর্থাৎ মোট প্রজনন হার কমে দাড়িয়েছে ২, অর্থাৎ একজন মহিলা সারা জীবনে দুটির বেশি সন্তানের জন্ম দেওয়ার ব্যাপারে ভাবছেন না। জাতীয় স্তরে প্রতি মহিলা অনুসারে প্রজননের সংখ্যা কমে দাড়িয়েছে ২.০। আর সমস্ত দেশ ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে উত্তরপ্রদেশে এই হার ২.৪ ও ড্ডীগড়ে ১.৪।

রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খন্ড ও উত্তরপ্রদেশ ছাড়া দ্বিতীয় পর্বে যে রাজ্যগুলোতে সমীক্ষা চালানো হয়েছে, সেখানে প্রজননের হার ২.১। কন্ট্রাসেপটিভ প্রিভেলেন্ট রেট (সিপিআর) সর্বভারতীয় স্তরে পাঞ্জাব ছাড়া দ্বিতীয় পর্যায়ের সমীক্ষাভুক্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৫৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৭ শতাংশ।

সর্বভারতীয় স্তরে হাসপাতালে জন্মদানের হার ৭৯ শতাংশ থেকে বেড়ে দাড়িয়েছে ৮৯ শতাংশ। পুদুচেরি ও তামিলনাড়ুতে প্রসবের হার ১০০ শতাংশ। দ্বিতীয় পর্বের সমীক্ষায় উঠে এসেছে দেশের সাত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোয় এই হার ৯০ শতাংশের বেশি।