• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

নুসরতের বিয়ে বৈধ নয়, হাঁফ ছেড়ে বাঁচল নিখিল

নুসরত জাহান নিখিল জৈন মামলায় নয়া মোড়। নুসরত-নিখিলের বিয়ে বৈধ নয়, এমনটাই জানাল আলিপুর আদালত। মানসিকভাবে অনেক আগে বিচ্ছেদ হয়েছিল।

নুসরত-নিখিল (Photo: SNS)

নুসরত জাহান নিখিল জৈন মামলায় নয়া মোড়। নুসরত-নিখিলের বিয়ে বৈধ নয়, এমনটাই জানাল আলিপুর আদালত। মানসিকভাবে অনেক আগে বিচ্ছেদ হয়েছিল। এবার খাতায়-কলমে নিখিল আর নুসরাত স্বামী-স্ত্রী নন। এদিনের রায়ে নিখিল রীতিমতো খুশি।

তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এটা জন্মদিনের সেরা উপহার। যে মামলা আমি করেছিলাম তাতে আমার জয় হয়েছে। জন্মদিনের দিন এই খবর পেয়ে আমি খুশি। আমার বাবা-মা খুব খুশি। সবাই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। আদালতের এই রায়ে সমস্ত আইন সম্পর্ক ছিন্ন হল।

বিবাহ বিচ্ছেদের অর্থাৎ ‘অ্যানালমেন্ট অফ ম্যারেজ’-এর মামলায় কার্যত জিতে গেলেন নিখিল জৈন। নুসরত তার ও নিখিলের বিয়েকে আচমকাই ‘সহবাসের’ তকমা দিয়েছিলেন। সেটি আইনের চোখে ভুল প্রমাণিত হল।

নিখিলের মতে, নুসরত আর তার কাছ থেকে খোরপোশ চাইতে পারবেন না। উল্লেখ্য তার ও নিখিলের তুরস্কের বিয়েকে প্রথম থেকেই অবৈধ বলে এসেছেন নুসরত। তবে নিখিলের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর কিছুদিনের মধ্যেই খবর আসে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন নুসরত জাহান। তার আগেই এই ‘অ্যানালমেন্ট অফ ম্যারেজ’ মামলা করেছিলেন নিখিল। সেই মামলায় এদিন আদলত জানিয়েছে, বিয়েটাই বৈধ নয়।

২০১৯ সালের ১৯ জুন নিখিল জৈনের সঙ্গে তুরস্কের বোদরুমে রূপকথার ‘বিয়ে’ সেরেছিলেন নুসরত জাহান। সাত পাক ঘুরে, অগ্নি সাক্ষী রেখে বিয়ের পাশাপাশি তারা হোয়াট ওয়েডিংও করেছিলেন তুরস্কে। তারপর কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে বড় করে বউভাতের আয়োজন করা হয়।

কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নিখিল-নুসরতের সম্পর্কে তাল কাটে। তারপর জল বহুদূর গড়ায়। নুসরত সেই সময় জানান, নিখিলের সঙ্গে তার বিয়ে আইনের চোখে অবৈধ, সুতরাং তাদের সম্পর্ককে একমাত্র লিভ ইনের নাম দেওয়া যেতে পারে। সেই কারণেই ডিভোর্সের কোনও প্রশ্ন উঠছে না।

নুসরত ও নিখিলের বিয়ে ‘স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট’-এর আওতায় রেজিস্টার করা হয়নি, কারণ নুসরত-নিখিল দু’জন ভিন্ন ধর্মের মানুষ। তাই তাঁদের বিয়ের আইনি স্বীকৃতির জন্য ওই বিশেষ আইনের আওতায় বিয়ে রেজিস্টার হওয়াটা জরুরি। তাই এই বিয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।