করোনা অতিমারী পর্ব পেরিয়ে এক বছর স্থগিত থাকার পরে পুরনো রূপেই ফিরছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। ইতিমধ্যেই বিধাননগর সেন্ট্রাল পার্কে এই বইমেলার নির্ঘন্ট প্রকাশ করা হয়েছে। শুক্রবার বইমেলার আয়োজন ঘিরে গিল্ডের পরিকল্পনা সরকারিভাবে সামনে আনা হল।
সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, সভাপতি সুধাংশুশেখর দে সহ অন্যান্যরা। ২০২০ সালে শেষ বইমেলা হয়েছিল। ২০২১ সালে বন্ধ ছিল শহরের এই আন্তর্জাতিক বইমেলা। করোনা পরিস্থিতির আগে শেষ হওয়া বইমেলায় ঘোষণা করা হয়েছিল, আগামী বছরের থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ।
২০২২ সালে তাই বাংলাদেশকে থিম কান্ট্রি করেই হতে চলেছে বইমেলা। আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে বইমেলা শুরু হয়ে চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ২০২২ সাল শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ, নেতাজির ১২৫ তম জন্মবর্ষ, ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর।
এইসব ঘটনার প্রতিফলন থাকবে বইমেলার প্রাঙ্গনে। এছাড়া গত দু’বছরে একাধিক শিল্পী, সাহিত্যিক, গুণীজনকে হারিয়েছে বাংলা। সেই তালিকায় রয়েছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ, বুদ্ধদেব গুহ, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
তাদের স্মৃতি ও কাজকে কুর্নিশ জানিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হবে বইমেলায়। বইমেলায় বিকিকিনি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আয়োজিত হবে অষ্টম কলকাতা সাহিত্য উৎসব।
বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের অন্য দেশ, ভিন রাজ্যের প্রকাশনা সংস্থা, লিটল ম্যাগাজিনের স্টল বসবে বইমেলার প্রাঙ্গনে। তবে বইমেলায় সকলের অবারিত দ্বার হলেও প্রবেশ করতে হলে ভ্যাকসিনের ডাবল ডোজ নেওয়ার শংসাপত্র দেখানো আবশ্যিক।