জলবায়ুর পরিবর্তন ক্রমেই বড় আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠছে। দেখা গিয়েছে, কীভাবে এর প্রভাব সকলের উপর পড়েছে। গ্লাসগোয় সি ও পি ২৬ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে নিজের বক্তব্য পেশ করার সময় জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়ে এভাবেই সকলকে সচেতন করতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।
বক্তব্য রাখার সময় মোদি বলেন, ‘গত কয়েক দশকেই দেখা এবং প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে কেউই জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব থেকে বাঁচতে পারেনি। সে উন্নয়নশীল দেশই হোক কিংবা প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য থাকা দেশই হোক। এদিন ‘অদম্য দ্বীপরাজ্যের পরিকাঠামো’র উদ্বাধনের সময় প্রধানমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করেন, এই ধরনের পদক্ষেপ নতুন আশা ও বিশ্বাসের জন্ম দেবে।
সোমবার ইতালিতে জি ২০ শীর্ষ সম্মেলন থেকে গ্লাসগোয় সি ও পি ২৬ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের জন্য পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। ওই দিনই স্কটল্যান্ডে অবস্থিত ভারতীয় সম্প্রদায়ের নেতা এবং ইন্ডোলজিস্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এরপর জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জের ২৬ তম কনফারেন্স অফ পার্টিস অথবা সি ও পি ২৬-এর ওয়ার্ল্ড লিডারস সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হন। সেখানেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মন্ত্রী, প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় মোদির।
দেখা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গেও। সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি বলেন, জলবায়ুর উপর বড় প্রভাব ফেলছে মানুষের জীবনযাপন। সেখানেই বদল প্রয়োজন।
আর তাই লাইফস্টাইল ফর এনভায়রনমেন্টের শপথ নেন তিনি। অর্থাৎ জলবায়ুর উন্নতির জন্য জীবনযাপনে বদল আনতে পাঁচ অমৃত তত্ত্বের সন্ধান দেন মোদি মঙ্গলবারও জলবায়ুর গুরুত্বের কথা উঠে এল প্রধানমন্ত্রীর মুখে।