কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা গান্ধির সাথে সম্প্রতি বৈঠক হয়েছে রাষ্ট্রীয় লোক দলের প্রধান জয়ন্ত চৌধুরীর। আগামী ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভার নির্বাচন রয়েছে। তাই এই বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে আবার সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব সোমবার পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, তাঁর দলের সঙ্গে আরএলডি-র জোেট চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এমনকি আসন বণ্টন নিয়েও সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন অখিলেশ।
গত রবিবার গোরক্ষপুর থেকে লখনউ ফিরছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সেই সময়েই আবার দলের ইস্তেহার প্রকাশের জন্য দিল্লির উদ্দেশে বিমান ধরার জন্য লখনউ বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে অপেক্ষা করছিলেন জয়ন্ত।
তখনই তাঁদের মধ্যে প্রায় ঘণ্টা খানেক বৈঠক হয়। কংগ্রেস এবং আরএলডি-র তরফে বলা হয়েছে, প্রিয়ঙ্কা এবং জয়ন্তর মধ্যে উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে অনেকেই বিষয়টি এত সহজ, সরল করে ভাবতে চাইছেন না।
পর্যবেক্ষকদের মতে, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের অন্তত ৩০-৩৫টি আসনে আরএলডি শক্তিশালী। পূর্ব উত্তরপ্রদেশেও কয়েকটি পকেটে শক্তি রয়েছে জয়ন্ত চৌধুরীর দলের। সেসব দিক থেকে এমন হাড্ডাহাডদি নির্বাচনে তাঁর দলের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে বড় দলগুলির আগ্রহ দেখানো স্বাভাবিক বলেই মত তাঁদের।
যদিও এবার সপা, কংগ্রেস জোট যে হচ্ছে না তা আগে থেকেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। ইতিমধেই উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রয়ঙ্কা গান্ধীর নেতৃত্বে প্রতিজ্ঞা যাত্রা শুরু করেছে কংগ্রেস।
এমনকি প্রিয়ঙ্কা নিজেও উত্তরপ্রদেশের ভোটে কোনও একটি আসন থেকে লড়তে পারেন বলে জানিয়ে রেখেছেন। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে বিমানবন্দরে প্রিয়ঙ্কা-জয়ন্তর দেখা হওয়া এবং ঘণ্টা খানেকের বৈঠককে কাকতালীয় ভাবে দেখছেন না অনেকেই।