দাদার আমন্ত্রণ দিদিকে। বিশ্বকাপ ফাইনালের খেলা দেখার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানালেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে মমতা এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করবেন কিনা এই বিষয়ে এখনও মনস্থির করেননি। বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন বলে সূত্রের খবর।
শেষ পর্যন্ত তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করবেন নাকি সৌজন্যমূলক চিঠি দিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিজের অপারগতার কথা জানাবেন, সেটা এখনও জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গোয়ায় পৌঁছেছেন। সেখানে তার নির্ধারিত কর্মসূচি সেরে শহরে ফিরে তিনি এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
উল্লেখ্য, শারজার আন্তর্জাতিক বইমেলার তরফেও বৃহস্পতিবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যে বইমেলার উদ্বোধন হবে আগামী ২ নভেম্বর। আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সেখানে চলবে বইমেলা। বইমেলার সমাপ্তির পরের দিনই, ১৪ নভেম্বর টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল দুবাইয়ে। শারজা এবং দুবাইয়ের মধ্যে দুরত্ব সড়কপথে মাত্র আধ ঘন্টার। আকাশপথে মাত্র কয়েক মিনিটের।
তাহলে মুখ্যমন্ত্রী যদি শারজা বইমেলার সমাপ্তি দিনে উপস্থিত থাকেন, তাহলে অনায়াসেই পরের দিন দুবাইতে বিশ্বকাপের ফাইনালে যেতে পারেন। তবে দু’টি আমন্ত্রণের ক্ষেত্রেই তিনি এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি । এর আগে ২০১৭ সালে অনুৰ্দ্ধ -১৭ বিশ্বকাপ ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন মমতা ।
তার আগে ২০১৬ সালে ইডেন গার্ডেন্সে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচেও স্টেডিয়ামে ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বরও ভারত বাংলাদেশ ইডেনে সৌরভের আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। সেই ট্র্যাডিশন মেনে মুখ্যমন্ত্রী এবারও বিশ্বকাপের ফাইনালে সৌরভের আমন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশেষ করে সৌরভের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সুসম্পর্কের কথা যেখানে কারও অজানা নয়। তবে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানা যাবে তিনি গোয়া থেকে ফিরলে। বোর্ডের তরফে বিশ্বকাপ ফাইনালে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলেও মুখ্যমন্ত্রী দুবাই যেতে পারবেন কিনা সেটা স্পষ্ট নয়।
শোনা যাচ্ছে, গোয়া থেকে কলকাতা ফেরার পর এ বিষয়য়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৭ সালে কলকাতায় অনূর্ধ্ব -১৭ ফুটবল বিশ্বকাপে যুবভারতীতে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, দেশের বাইরে কোনও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফাইনালে এভাবে কোনও মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণ পাওয়াটা বিরল। এই ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলিতে সাধারণত প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপ্রধানেরা আমন্ত্রণ পেয়ে থাকেন।
বস্তুত, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক বরাবরই ভাল। এর আগে মমতাকে দুবাইয়ের বিশ্বকাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বোর্ডের তরফে।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে টি -২০ বিশ্বকাপ সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং ওমানে অনুষ্ঠিত হলেও এর আয়োজক ভারতই। দেশে করোনা পরিস্থিতির জন্যই বিশ্বকাপ আমিরশাহীতে সরাতে বাধ্য হয়েছে ভারতীয় বোর্ড।
দেশের মাটিতে খেলা হলে এমনিতেও ইডেনের কোনও ম্যাচে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা ছিল। এবার দুবাইয়েও বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখার আমন্ত্রণ পেলেন মমতা। যদিও শেষপর্যন্ত তিনি যাবেন কিনা, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।