• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

প্রতিবাদে মুখর বর্তমান ও প্রাক্তন ক্রিকেটাররা, সোশ্যাল মিডিয়ায় রাতারাতি ভিলেন হয়ে গেলেন মহম্মদ শামি

টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে পাকিস্তানের কাছে লজ্জাজনক হারের পরে ভারতের পেসার মহম্মদ শামির উপরে চরম আক্রমন দেখতে পাওয়া গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

মহম্মদ শামি (ছবিঃএসএনএস)

টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে পাকিস্তানের কাছে লজ্জাজনক হারের পরে ভারতের পেসার মহম্মদ শামির উপরে চরম আক্রমন দেখতে পাওয়া গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাতারাতি শামি ভিলেন হয়ে গেলেন ভারতীয় দলে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাত্র ৩.৫ ওভার বল করে শামি ৪৩ রান দিয়েছেন।

২৩ বলে এত রান দেওয়ার জন্যই পাকিস্তানের পক্ষে ম্যাচ জেতাটাও খুব সহজ হয়ে যায়। এমনকি তার বলে ছক্কা ও বাউন্ডারি মারতে কার্পণ্য করেননি পাকিস্তানি দুই ওপেনার। সেই কারণে সবাই শামির উপরে ক্ষুব্ধ হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার কন্যা বইয়ে দিয়েছেন ক্রিকেট প্রেমীরা অনেকেই অন্য ভাষায়ও শামিকে কটুক্তি করতেও দ্বিধা করেননি।

অনেকেই বলেছেন তিনি নাকি অর্থের বিনিময়ে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানের সামনে হালকা চালে বল করেছেন। রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম বলতে আসে দ্বিতীয় ওভারে শামি। তিনি তখন ৮ রান দিয়েছিলেন। এরপরে শামিকে বল করতে ডাকা হয়।

পঞ্চম ওভারে আর ওই ওভারে তিনি ১১ রান দেন। অধিনায়ক বিরাট কোহলি খেলার শেষ ৪ ওভারের সময় শামির হাতে বল তুলে দেন। তখন পাকিস্তান দলের কাছে জয়ের হাতছানি স্বাভাবিকভাবে দুই ওপেনার ঝোড়ো ব্যাটিং করবেন। তিন ওভারে শামি ২২ রান দিয়েছেন।

১৮ তম ওভারে আবার শামির ডাক আসে। ওই ওভারেই শামি ১৭ রান দিয়েছেন মাত্র ৫ বলে। তখনই পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। শামি এই দুর্বল বোলিং দেখে অনেকেই হতাশ কিন্তু শামিকে কোনও ভাবেই সমালোচনা না করে তার পাশে দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করছেন বেশ কিছু প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটাররা।

বিশেষ করে বীরেন্দ্র সেহবাগ ইরফান পাঠান, ভিভি এস লক্ষ্মণ প্রতিবাদ জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যাঁরা শামির বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করছেন তা সঠিক নয়। এটা মনে রাখতে হবে প্রতি ম্যাচে কোনও খেলোয়াড়ই ভালো ফর্মে নাও থাকতে পারেন।

তাই বলে তার বিরুদ্ধে অভব্য আচরণ করতে হবে তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আশা করব যারা জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেন তাদের দায়িত্ব বোধ রয়েছে। এমনকি তারা চেষ্টা করেন সেরা খেলাটা উপহার দিয়ে দেশের সম্মানটা অটুট রাখতে।

ইরফান বলেছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমরা আগে হেরেছি (টি-২০ বিশ্বকাপে নয়) তখন কিন্তু কেউ সেইভাবেআমাদের সমালোচনার ঝড়ে উড়িয়ে দেননি। তবে মানসিকভাবে অবশ্যই ভেঙে পড়েছিলাম। পরের ম্যাচে জয় ফিরিয়ে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম করেছিলাম।

এটাই খেলোয়াড়দের কাছে বড়ো আত্মবিশ্বাসের হাতিয়ার হিসাবে প্রকাশ ঘটে। আশা করব বিরাট কোহলিরা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার সমালোচনার ব্যাপারে কোনও কথা বলেননি মহম্মদ শামি।