• facebook
  • twitter
Wednesday, 27 November, 2024

বিস্ফোরক সত্যপাল মালিক

দু'টি ফাইলে সই করে দেওয়ার জন্য ৩০০ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে এমনটাই দাবি করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক।

সত্যপাল মালিক (Photo: SNS)

দু’টি ফাইলে সই করে দেওয়ার জন্য ৩০০ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে এমনটাই দাবি করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, এই বিশেষ ফাইল দু’টির একটি ছিল আম্বানির, অন্যটি আর এক আরএসএসের বড় আধিকারিকের।

বৃহস্পতিবার সত্যপাল মালিকের একটি ভিডিও ট্যুইটারে প্রকাশিত হয়। তাতেই তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি জম্মু ও কাশ্মীরের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই দু’টি ফাইল আমার হাতে আসে একটিতে আম্বানী জড়িত ছিলেন এবং অন্যটিতে সংঘের একজন বিশিষ্ট কর্মকর্তা ছিলেন।

আমাকে বলা হয়েছিল যে এই দু’টি ফাইলেই স্ক্যাম জড়িয়ে আছে। আমার দফতরের অফিসাররা আমায় বলেছিলেন, ফাইল দু’ট ক্লিয়ার করে দেওয়ার জন্য আমি ১৫০ কোটি টাকা করে মোট ৩০০ কোটি টাকা পাব।

আমি বলেছিলাম, আমি পাঁচটা পাঞ্জাবি পায়জামা নিয়ে এখানে এসেছি । তাই নিয়েই যাব।’ রবিবার রাজস্থানের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময়ে সত্যপাল মালিক এই কথাগুলি বলেন।

তিনি এও জানান, তিনি ফাইল সই করেননি। সেই অনুষ্ঠানের ভিডিওই বৃহস্পতিবার ট্যুইটারে প্রকাশিত হয়। সত্যপাল আরও বলেছেন, ‘আমি যদি কাশ্মীরে কোনও দুর্নীতি করতাম ইডি এবং আয়কর বিভাগে আমার বাড়িতে পৌঁছে যেত। এখনও হয়তো যেতে পারে কোনও না কোনও অজুহাতে।

কিন্তু আমি সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, আমার কোথাও কোনও কিছু লুকোনো নেই।’ এই ভিডিওতে সত্যপাল মালিক এও বলেছেন, কৃষক আন্দোলন নিয়ে তিনি কৃষকদের পক্ষেই কথা বলেছন নির্ভয়ে। এজন্য নিজের প্রশাসনিক পদ ত্যাগ করতেও তিনি পিছপা নন।

সূত্রের খবর, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল যে ফাইলগুলির কথা উল্লেখ করেছিলেন, তার মধ্যে একটি ছিল প্রাক্তন রাজ্য সরকারি কর্মচারী, সাংবাদিক এবং পেনশনভোগীদের স্বাস্থ্য বিমা সম্পর্কিত। এই বিষয়ে রিলায়েন্সজেনারেল ইনসিওরেন্সের সঙ্গে চুক্তি করেছিল জম্মু-কাশ্মীর সরকার।

রিলায়েন্স অনিল আম্বানীর নেতৃত্বাধীন রিলায়েন্স গ্রুপের একটি অংশ এই চুক্তিই সত্যপাল মালিক সই করেননি। আরেকটি কোনও ফাইল সম্পর্কিত তা জানা যায়নি। উল্লেখ্য সত্যপাল মালিক ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে তাকে গোয়াতে বদলি করা হয়।