রবিবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চলছে ননস্টপ বৃষ্টিপাত। তবে এতে দমেননি এসএসসি-র চাকরি প্রার্থীরা। রবিবার দুপুর বারোটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ধর্মতলার গান্ধি মূর্তির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন কর্মসূচি পালন করল এসএসসির চাকরি প্রার্থীরা।
তাদের দাবি, এসএসসি নিয়োগে একের পর এক দুর্নীতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাও মানা হয়নি। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, মেধাতালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে তারা চাকরি পাননি। অন্যদিকে, স্কুল সার্ভিস কমিশনে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে।
২০১৯ সালে ধর্মতলার প্রেস ক্লাবের সামনে এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রায় একমাস আন্দোলনে বসেছিলেন এই চাকরি প্রার্থীরা। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছিলেন, আন্দোলনকারীদের দাবি মানা হবে। অভিযোগ, দেড় বছর হয়ে যাওয়ার পরেও সেই দাবি মানা হয়নি।
আন্দোলনকারীদের আরও অভিযোগ, সেই সময় যাঁরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তারা এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠরা চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। অথচ বিপুল সংখ্যক চাকরিপ্রার্থী চাকরি পাননি। তাই আরও একবার অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানে বসলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।
চলতি বছরই মার্চে কালীঘাটে জড়ো হয়েছিলেন এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা। সেবারও হঠাৎ করেই সবাইকে চমকে দিয়ে রাস্তায় বসেছিলেন আন্দোলনকারীরা। তারপরে রাস্তায় শুয়ে পড়তে দেখা যায় তাদের। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন কয়েকশ পরীক্ষার্থী।
তাদের দাবি, মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি হচ্ছে না। একাদশ-দ্বাদশে তাদের। মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তাদের চাকরি হবে। তবে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, নবম-দশম এসএসসি-র লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেও, কয়েক বছর ধরে ওয়েটিং লিস্টে থাকতে হচ্ছে কয়েকশো প্রার্থীকে।
অথচ ওই শিক্ষকদের জন্য অসংখ্য শূন্যপদ রয়েছে একাধিক স্কুলে। গত ১২ মার্চ ধর্মতলা, কলেজস্ট্রিট, শিয়ালদা, মৌলালি, শ্যামবাজার-সহ গোটা শহর জুড়ে ৪৮ ঘণ্টার অনশন আন্দোলন করেছিলেন এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা।
আন্দোলনকারীদের দাবি সরকারের বিভিন্ন দফতরে বারবার গিয়ে, অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ফের একবার আন্দোলনে বসলেন এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা। দেখা যাক সরকারের টনক নড়ে কিনা?