শনিবার জাতীয় কংগ্রেস দলের কার্যকরী সমিতির সভা ছিল। সেই সভাতেই সোনিয়া গান্ধি জানালেন ‘আমিই পূর্ণ সময়ের কংগ্রেসের সভানেত্রী। এদিনের সভায় সূচনা ভাষণে সোনিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি কংগ্রেসের পূর্ণ সময়ের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালনে রাজি।
পাশাপাশি তাঁর এই মন্তব্যকে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাদের উদ্দেশে বার্তা হিসেবেও দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে প্রকাশ, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে কার্যকরী সমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজাদের মতো নেতারা সভাপতি হিসেবে স্থায়ী কাউকে চেয়ে বার বার দাবি জানাচ্ছিলেন। মুখ খুলছিলেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে। এতদিন এ নিয়ে একটি কথাও বলেননি সোনিয়া।
শনিবার কংগ্রেসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সেই বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিশানা করে তিনি বলেন, ‘আপানারা যদি অনুমতি দেন, তাহলে আমি কংগ্রেসের পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী হতে পারি আমি বরাবরই খোলামেলা পরিবেশে বিশ্বাস রেখে এসেছি। তাই সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে আমার সঙ্গে কথা বলার কী প্রয়োজন?
এতে বিক্ষুব্ধদের অনেকটায় গতি হারালো বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কংগ্রেস সভাপতি পদে ফিরে আসার ব্যাপারে আবার ভাবনা চিন্তা করতে পারেন রাহুল গান্ধি। শনিবার পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন নিয়ে দলের কার্যকরী সমিতির বৈঠকে তিনি এমনটাই জানিয়েছেন বলে দাবি দলীয় সূত্রের।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে কার্যকরী সমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের পর কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধি।
তারপর থেকে দলের অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন সোনিয়া গান্ধি। ওই পদে স্থায়ী ভাবে রাহুলকে চেয়েও ইতিমধ্যে দলের একাধিক শীর্ষ নেতা আর্জি জানিয়েছেন।
কপিল সিব্বল, গোলাম নবি আজাদদের মতো নেতারা দাবি জানিয়েছিলেন, দলের মধ্যে সংস্কার করা হোক শনিবার কার্যকরী সমিতির বৈঠকে ওই বিক্ষুব্ধ নেতাদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে সোনিয়া বলেছেন, ‘আপনারা যদি অনুমতি দেন তাহলে আমি কংগ্রেসের পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী হতে পারি।’