৯০ মিনিট খেলার পরও ম্যাচ ছিল অমীমাংসিত। অতিরিক্ত সময়ের ১৫ মিনিটের মাথায় এফ সি গোয়ার অধিনায়ক এডু বেদিয়ার করা গোলে ডুরান্ড কাপ ছিনিয়ে নিল গোয়া। চতুর্থ বারের মতো ডুরান্ড কাপ হাতছাড়া গল মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের।
আট বছর বাদে আবার জেতার স্বপ্ন নিয়ে রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে ডুরান্ড কাপ ফুটবলের ফাইনালে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল এফসি গোয়ার বিপক্ষে মহমেডান স্পোর্টিং। দুই দলের কাছে অত্যন্ত মর্যাদার লড়াই ছিল।
আইএসএল ফুটবলে খেলা এফসি গোয়ার কোচ খুয়ান ফের্নান্ডো কৌশলভাবে সাদা-কালো শিবিরে চাপ সৃষ্টি করেন দলের খেলোয়াড়দের স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিলেন, কোনওভাবেই আক্রমণ থেকে সরে থাকা চলবে না। অপরাজিতভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে মাঠ ছাড়তে হবে।
আবার অপরপক্ষে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের কোচ আন্দ্রেই চের্নিশভ জোরের সঙ্গে বলে দিয়েছিলেন, যে কোনও মূল্যে ডুরাল্ড কাপ বাংলাতেই রাখতে হবে । দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি আক্রমণের ধার ছিল এফসি গোয়ার। তবে কখনওই মহমেডান স্পোর্টিং হাল ছাড়েনি।
খেলায় নির্দিষ্ট সময়ে কোনও পক্ষ গোল করতে পারেনি। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে মাঠে খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। তাই খেলার শুরু থেকেই সাদা-কালো শিবিরে নিকোলা ও মার্কারা আক্রমণে ঝড় তুলতে থাকেন।
একটু নীচ থেকে আক্রমণকে জোরদার করতে বার বার উঠে আসছিলেন মিলন সিং, শেখ ফৈয়াজ ও আজহারউদ্দিন মল্লিক। আবার পাল্টা আঘাত গোয়ার ফুটবলাররা চাপ সৃষ্টি করলেও, প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে এলোমেলো করতে পারেননি।
বরঞ্চ চকিত আক্রমণ থেকে মিলন সিং গোল করলেও, রেফারি তা বাতিল করে দেন। তার আগে রেফারি ফ্রিকিকের নির্দেশ দেন। খেলার থেকে শক্তি প্রয়োগ করতে দেখা গেল দু’দলের খেলোয়াড়দের। খেলার প্রথম পর্বে কোনও পক্ষই গোল করতে পারেনি।