‘নন্দীগ্রামে চক্রান্ত হয়েছিল, ভবানীপুর তার জবাব দিল’। ভবানীপুরে ভোটের ফল বেরোনোর পর একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, নন্দীগ্রামের ঘটনা এখনও বিচারাধীন। তাই এনিয়ে কথা বলতে চান না। তবে আসলে বাংলা কি চায় ভবানীপুর তা স্পষ্ট করে দিয়েছে।
এদিন নির্বাচনের ফলাফল মোট ২১ রাউন্ড ভোট গণনার মাধ্যমে জানা যায়। প্রথম থেকেই প্রায় প্রতি রাউন্ডে ভোটের ব্যবধান বাড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে জয়ী হন মমতা। যা ২০১১ সালের ব্যবধানকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
জয়ী হওয়ার পর কালীঘাটে বাড়ির সামনে সাংবাদিক বৈঠক করে ধন্যবাদ জানালেন ভবানীপুরের মানুষকে। বলেন, কোভিড এবং বৃষ্টি সামলে যেভাবে ভোট দিয়েছেন মানুষ , তাতে আমি কৃতজ্ঞ। সমস্ত ভাষার মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছেন।
সবকটি ওয়ার্ডে আমি বেশি ভোট পেয়েছি। এই প্রথম এমন হল। ভবানীপুরের মানুষ গোটা দেশকে দেখিয়ে দিল বাংলা কাকে চায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরপর শান্তিপুর, গোসাবা, দিনহাটা, খড়দা উপনির্বাচনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।
শান্তিপুরে প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী, গোসাবার বাপ্পাদিত্য নস্কর এবং সুব্রত মণ্ডলের মধ্যে একজন প্রার্থী হবেন, দিনহাটায় উদয়ন গুহ, খড়দায় প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।