• facebook
  • twitter
Tuesday, 26 November, 2024

ঝাড়ুদার রজনী এখন তেলেঙ্গানার সরকারি পতঙ্গবিদ

একসময় ঝাড় দারের কাজ করা মহিলা এখন তেলেঙ্গানা সরকারের পতঙ্গবিদ। যখন তিনি ঝাড়ুদারের কাজ করতেন, তখন এই মহিলা মাসে ১০ হাজার টাকা করে পেতেন।

রজনী (Photo: IANS)

একসময় ঝাড়ুদারের কাজ করা মহিলা এখন তেলেঙ্গানা সরকারের পতঙ্গবিদ। যখন তিনি ঝাড়ুদারের কাজ করতেন, তখন এই মহিলা মাসে ১০ হাজার টাকা করে পেতেন। মহিলার নাম রজনী। তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গলের বাসিন্দা, বাবা পেশায় ক্ষেতমজুর। তবুও রজনীকে রােখা সম্ভব হয়নি। দারিদ্র হার মেনেছে তার অধ্যবসায়ের কাছে।

জৈব রসায়ন স্নাতকোত্তস্তরের প্রথম বিভাগে পাশ করে হায়দরাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা শুরু করেন। পড়াশােনার মাঝেই এক আইনজীবীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। রজনী ওয়ারাঙ্গল ছেড়ে চলে যান হায়দরাবাদে।

কিন্তু আচমকাই জীবনে প্রতিবন্ধকতা নেমে আসে। আইনজীবী স্বামী অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। সন্তান সহ পাঁচ জরে পরিবার সামলাতে এরপর সবজি বিক্রি শুরু করেন রজনী।

এরই মধ্যে খবর পান গ্রেটার হায়দরাবাদ পুরনিগম চুক্তিভিত্তিতে ঝাড়ুদার নেবেন। আর সাতপাঁচ না ভেবে ওই পদের জন্য আবেদন করেন রজনী। চাকরিটা জুটেও যায়। রজনী ঝাড়ু হাতে তুলে নেন সংসারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় রজনীর কথা। সেখানে লেখা হয়, উচ্চশিক্ষিত এক মহিলা ঝাড়ুদারের কাজ করছেন। খবরটি পৌঁছয় তেলেঙ্গানা পুরসভার মন্ত্রী কে টি রামারাওয়ের কাছে। মন্ত্রী খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন।

জানতে পারেন, রজনী জৈব রসায়নে প্রথম বিভাগ পেয়ে স্নাতকোত্তর হয়েছেন। এরপর রজনীর কাছে প্রস্তাব যায় সহকারী পতঙ্গবিদ হিসেবে কাজ করার। আচমকাই এমন সুযােগ পেয়ে রজনীর চোখে জল। খুব দ্রুত তাকে এই পদে বহাল করার জন্য প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।