বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তম বেঞ্চে উঠেছিল ভােট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মামলার শুনানি। এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিড়াল এজলাসে জানিয়েছেন, ভােট পরবর্তী হিংসা মামলায়। অপেক্ষাকৃত কম গুরত্বপূর্ণ মামলার দায়িত্বে সিটের প্রধান হিসাবে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান।
বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরকে নিয়ােগ করা হয়েছে। তাতে সাম্মানিক হিসাবে দশ লক্ষ টাকা তিনি নেবেন না বলে জানিয়েছেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর এই সিট গঠনের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি হিসাবে মঞ্জুলা চেল্লুর নিয়ােগ হয়েছেন। এই বিচারপতি একসময় কলকাতা হাইকোর্ট এবং বন্ধে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে ছিলেন।
গত ১৯ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ ভােট পরবর্তী হিংসা মামলায় গুরত্বপূর্ণ অভিযােগ তদন্তে সিবিআই এবং কম গুরুত্বপূর্ণ অভিযােগ তদন্তে সিট গঠনের নির্দেশিকা জারি করেছিল। প্রায় দু সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও রাজ্য সরকারের তরফে সিট গঠনের তৎপরতা চোখে পড়েনি বলে অভিযােগ উঠছিল।
এই বিষয়ে নিস্ক্রিয়তার জন্য মামলাকারীদের আইনজীবীরা হাইকোর্টে ফের দারস্থ হতে চলেছিলেন। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সিট গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল গত ৩ সেপ্টেম্বর। সেখানে কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর কে সিটের প্রধান করা হয়েছে।
যেহেতু হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল একজন প্রাক্তন বিচারপতিকে সিটের প্রধান হিসাবে নিয়ােগ করার। সেই নিয়ােগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলাে রাজ্য সরকার। পাঁচটি জোনে সিট তদন্ত চালাবে ভােট পরবর্তী হিংসা মামলায় অপেক্ষাকৃত কম গুরত্বপূর্ণ মামলাগুলিতে।
হেড কোয়াটার, কলকাতা পুলিশ সহ নর্থ জোন, ওয়েস্ট জোন, সাউথ জোনে এডিজি, আইজি, ডিআইজি, ডিসি পদমর্যাদা পূর্ণ অফিসাররা সিটের তদন্ত প্রক্রিয়া চালাবেন। সিটের হেডকোয়ার্টারে থাকছেন ডিআইজি (রেল) সােমা দাস এবং ডিসি শুভঙ্কর ভট্টাচার্য।
কলকাতা পুলিশের তরফে থাকছেন আইপিএস তন্ময় রায় চৌধুরী ও আইপিএস নীলাঞ্জন বিশ্বাস। নর্থ জোনের দায়িত্বে থাকছেন আইজি ডিপি সিং এবং মালদা রেঞ্জের ডিআইজি প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী।
ওয়েস্ট জোনের দায়িত্বে থাকছেন পশ্চিমাঞ্চলের আইজি সঞ্জয় সিং এবং বর্ধমান রেঞ্জের আইজি বিএল মিনা। সাউথ জোনের দায়িত্বে থাকছেন দক্ষিণবঙ্গের এডিজি সিদ্ধি নাথ গুপ্তা বারাসাত জোনের ডিআইজি প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়।