• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মদতপুষ্ট জঙ্গি নেটওয়ার্ক প্রকাশ্যে, উৎসবের মরশুমে হামলার ছক, ধৃত ৬ জঙ্গি

দেশে বড় জঙ্গি নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া সম্ভব হল। পাক মদতপুষ্ট এই জঙ্গি নেটওয়ার্কের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানাের ছক কষেছিল।

হামলার ছক, ধৃত ৬ জঙ্গি (File Photo: SNS)

উৎসবের মরশুম শুরু হওয়ার আগে। দেশে বড় জঙ্গি নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া সম্ভব হল। পাক মদতপুষ্ট এই জঙ্গি নেটওয়ার্কের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানাের ছক কষেছিল। উত্তরপ্রদেশ সন্ত্রাস দমন শাখার আধিকারিকদের সহযােগিতায় দিল্লি পুলিশ বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দিয়ে ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে।

এদিকে, মুম্বই থেকে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক ট্রাভেল এজেন্টকে তাজ একদিন পর আটক করা হয়েছে । মুম্বই পুলিশ ও অপরাধ দমন শাখার অফিসাররা তদন্তে নেমেছে। তারা জানিয়েছেন, এই ট্রাভেল এজেন্ট ১৩ সেপ্টেম্বর জঙ্গি শেখ ওরফে সমীর কালিয়ার জন্য দিল্লিগামী ট্রেনের টিকিট কেটেছিল।

মহারাষ্ট্র সন্ত্রাস দমন শাখা ও মুম্বই পুলিশ ধৃত জঙ্গি জান মহম্মদ শেখের বাড়িতে হানা দেয়। শেখের পরিবারে সিওনে বহু বছর ধরে বস্তিতে বসবাস করে। শেখের স্ত্রী সামান্য ছােটোখাটো কাজ করে। তাদের দুটো সন্তান রয়েছে। সন্ত্রাস ন শাখার অফিসাররা আরও তথ্য জোগাড় করার চেষ্টায় আশেপাশের লােকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

প্রতিবেশিরা জানিয়েছেন, শেখ অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের মানুষ। পরিবারের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করেন। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানাে হয়েছে, ‘জঙ্গি নেটওয়ার্কটি দেশে গণেশ চতুর্থী, নবরাত্রি, রামলীলা উৎসবের মুহুর্তে বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানাের পরিকল্পনা করেছিল।

গতকাল অপারেশন চালিয়ে জান মহম্মদ শেখ ওরফে সমীর কালিয়া ও তার পাঁচ সহযােগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত জঙ্গিদের মধ্যে দু’জন আইএসআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি রয়েছে। পাক নিবাসী আনিস ইব্রাহিমের ঘনিষ্ট শেখকে ভারতের বিভিন্ন জঙ্গি গ্রুপে আগ্নেয়াস্ত্র, বােম, গ্রেনেড সরাহ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, দাউদ ইব্রাহিমের ভাই আনিস ইব্রাহিম কাসকর ভারতে জঙ্গি হামলা চালানাের পরিকল্পনা সফল তে অন্ধকার জগতের লােকজনদের সঙ্গে যােগাযােগে থাকেন। স্পেশ্যাল কমিশনার অফ পুলিশ জানিয়েছেন, ‘একাধিক রাজ্যে তল্লাশি চালিয়ে ৬ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জন আইএসআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি।

এই বছরই দু’জন পাকিস্তানে ট্রেনিং নিতে গেছিল। মানুষ ও প্রযুক্তির সাহায্যে নজরদারি চালিয়ে জঙ্গি নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া সম্ভব পাশাপাশি এটা জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে জঙ্গি নেটওয়ার্ক প্রসার বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজস্থানের কোটা থেকে শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ট্রেনে করে দিল্লি যাওয়ার পথে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত ওসামাকে রাজধানীয় ওখালা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকারকে সরাই কালে খান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোমারকে এলাহাবাদ, জাভেদকে লখনউ, মূলচন্দকে রায়বারেলি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ধৃত জেশান কোমার প্রয়াগরাজের বাসিন্দা। এমবিএ করে দুবাইতে অ্যাকাউন্টেন্টের চাকরি করত। খেজুরের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। ধৃত ওসামা, জামিয়া নগরের বাসিন্দা। স্নাতক পড়ছে। শুকনাে ফলের পারিবারিক ব্যবসা। প্রায়ই মধ্যপ্রাচ্যে যেতেন।