বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিড়ালের এজলাসে উঠেছিল পিএসসি চেয়ারম্যান নিয়ােগ সংক্রান্ত মামলা। এদিন মুকুল রায়ের আইনজীবী আদালত কে জানান – ‘আমার মক্কেল মুকুল রায় শারীরিক ভাবে অসুস্থ, তাই শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হােক।
তবে মামলাকারী বিজেপির পক্ষে আইনজীবী মামলা পিছিয়ে দেওয়া আবেদনের কড়া বিরােধিতা করে থাকেন। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিড়াল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রেখেছেন আগামী ১০ সেপ্টেম্বর। অর্থাৎ মাত্র দুদিন পিছালাে এই মামলা।
গত শুনানিতে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিড়ালের ডিভিশন বেঞ্চে পিএসসি চেয়ারম্যান নিয়ােগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় এই জনস্বার্থ মামলাটি দাখিল করেছেন। গত ১১ জুন রাজনৈতিক নেতা মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে যােগদান করে থাকেন।
প্রাপ্তি যােগে গত ৯ জুলাই রাজ্য বিধানসভার পিএসি চেয়ারম্যান পদে নিয়ােগ হন। আর এই নিয়ােগ ঘিরেই চলে আইনী জটিলতা। গত শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্ডাল রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিলেন – ‘পিএসি চেয়ারম্যান কি বিরােধী দল থেকেই হয়?’ রাজ্য অবশ্য কোন উত্তর দেয়নি।
এর আগের শুনানিতে বিধানসভার স্পিকারের পক্ষে রাজ্যের এডভােকেট জেনারেল কিশাের দত্ত কলকাতা হাইকোর্টের কাছে হলফনামা পেশে চেয়েছিলেন দু সপ্তান্ত্রে সময়সীমা। তবে কলকাতা হাইকোর্ট এই সময়সীমা কমিয়ে দুদিন সময় বেঁধে দিয়েছিল স্পিকারকে হলফনামা পেশে।
এতে রাজ্য চাপে পড়ে যায় বলে মনে করে থাকে ওয়াকিবহাল মহল। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিড়াল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভাজের ডিভিশন বেঞ্চে রয়েছে রাজ্য বিধানসভার পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়কে নিয়ােগ সংক্রান্ত মামলা।
এই জনস্বার্থ মামলাটি দাখিল করেছেন নদীয়ার কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। নিয়ম না মেনে পিএসি চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায় কে বসানাে হয়েছে বলে দাবি করে এই মামলাটি দাখিল করেছেন এই গেরুয়া বিধায়ক।
আগের শুনানি পর্বে বিধানসভার স্পিকারের পক্ষে রাজ্যের এডভােকেট জেনারেল কিশাের দত্ত জানিয়েছেন – ‘পিএসির চেয়ারম্যান নিয়ােগ নিয়ে আরও কিছু বলার আছে। বিস্তারিত জানাতে দু সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হােক। তবে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিড়ালের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের এই আর্জি খারিজ করে ছিলেন।
পাশাপাশি ১২ আগস্টের মধ্যে বিধানসভার স্পিকারকে পিএসি চেয়ারম্যান নিয়ােগে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিজেপির পক্ষে আইনজীবী কে এস নরসিংহ জানান – ‘সাংসদীয় ব্যবস্থায় এই ধরনের ক্ষমতা স্পিকার প্রয়ােগ করতে পারে কিনা, তা খতিয়ে দেখার প্রয়ােজন আছে। এটি খুবই গুরত্বপূর্ণ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাধারণত বিধানসভায় বিরােধী দলের কেউ পিএসসি চেয়ারম্যান পদে আসীন হন। বিধানসভার ফলপ্রকাশের পরে একদা বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় তাঁর পুরাতন দল তৃণমূলে ফিরে আসেন। দলে প্রত্যাবর্তনের পুরস্কার হিসাবে পিএসি চেয়ারম্যান পদে নিয়ােগ পান বলে বিজেপির অভিযােগ। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।