দেশে টিকাকরণ ভালই চলছে, বাড়ি বাড়ি ঘুরে টিকা দেওয়া সম্ভব নয়, কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে একটি মামলার রায়ে এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। দেশে করােনায় মৃত্যু চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আর্জি জানানাে হয়েছিল।
সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ জানায়, করােনায় সব মৃত্যুই যে চিকিৎসার গাফিলতির জন্য হচ্ছে তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। দেশের চিকিৎসক ও নার্সরা করােনায় সঙ্কটাপন্ন রােগীদের যথাসাধ্য চিকিৎসা করছেন। তাই সব মৃত্যু গাফিলতিতে হচ্ছে সেটা কখনওই বলা যায় না।
বিচারপতিরা আরও জানান, দেশে করােনা রুখতে সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। টিকাকরণ ভালই গতিতে এগােচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাস থেকে কোভিড় ভ্যাকসিনের জোগান আরও বাড়বে দেশে। পাশাপাশি শিশুদের টিকাকরণের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। তাই বাড়ির দরজায় দরজায় গিয়ে টিকা দিতে হবে, এমন ব্যবস্থা করা এখনই সম্ভব নয়।
বস্তুত, কেরল হাইকোর্ট গতকালই নির্দেশ দিয়েছে ভ্যাকসিনের সেকেন্ড ডােজ নির্ধারিত সময়ের আগেই নেওয়া যেতে পারে। হাইকোর্টের বিচারপতি পি বি সুরেশ কুমার জানিয়েছেন, কেভিশিল্ডের দুটি ডােজের মধ্যে ব্যবধান ১২ সপ্তাহ থেকে কমিয়ে চার সপ্তাহ করা যেতেই পারে।
তবে কেউ ইচ্ছুক হলে ৮৪ দিনের ব্যবধানে সেকেন্ড ডােজ নিতে পারবেন। জনসাধারণের ইচ্ছার ওপরে সেটা নির্ভর করবে। বিশেষত, কর্মসূত্রে বা পড়াশােনার জন্য দেশের বাইরে যেতে ইচ্ছুক যাঁরা, তাঁরা চাইলে আগেই ভ্যাকসিনের ডােজ নিতে পারে। সে জন্য কোউইন অ্যাপে রেজিস্ট্রেশনের নিয়মেও বদল করা হবে।