ইডি’র দেওয়া সময় মেনেই দিল্লিতে ইডি’র দফতরে ঢােকেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত ৮ টা পর্যন্ত মােট ৯ ঘণ্টা তাকে জেরা করা হয় ইডি’র দফতরেই। দু’টি দফায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি’র আধিকারিকরা, এমনটাই জানা গিয়েছে। রবিবারই কলকাতা থেকে দিল্লিতে যান অভিষেক।
বিমানবন্দরে সাংবাদিদের মুখােমুখি হয়ে অভিষেক জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তাকে ডাকা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইডি-সিবিআই লাগিয়ে লাভ হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেছিলেন।
কলকাতার মামলায় তাকে দিল্লিতে ডেকে আনা হয়েছে এদিনও অভিষেক ইডি’র মুখােমুখি হওয়ার আগে, সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যে কোনও তদন্তের মুখােমুখি হতে প্রস্তুত। তদন্তকারী সংস্থা নিজের কাজ করছে।
একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার উচিত তাদেরকে সহযােগিতা করা। সােমবার সকাল ১১ টা নাগাদই জামনগরে ইডির অফিসে পৌঁছে গেলেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঢােকার আগে সাংবাদিকদের মুখােমুখি হয়ে তিনি বলেন, যে কোনও তদন্তের মুখােমুখি হতে প্রস্তুত। সব রকম সহযােগিতা করব। তদন্তকারী সংস্থা নিজের কাজ করছে। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমারও উচিত তাদের সঙ্গে সহযােগিতা করা।
কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে গত ২৮ আগস্ট নােটিশ পাঠিয়ে অভিষেককে তলব করেছে ইডি। হাজিরা দিতে রবিবারই দিল্লিতে পৌছ অভিষেক। দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের অভিষেক বলেছেন, রাজনৈতিক লড়াইয়ে হেরে গিয়ে প্রতিহিংসায় নেমেছে।
তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা ছাড়া এদের (শাসক বিজেপি) কোনও কাজ নেই। একই মামলায় অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকেও ১ সেপ্টেম্বর ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। অতিমারি পরিস্থিতিতে সন্তানদের কলকাতায় রেখে দিল্লি যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় বলে ইডি-কে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন রুজিরা।