• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

ভারতে পােলিও, হামের টিকাকরণ যথেষ্ট নয় তথ্য দিল অভিজিৎ বিনায়কের টিম

কিছুদিন আগেই নােবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় করােনার টিকা নিয়ে কেন্দ্রের সক্রিয়তার অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন।

অভিজিং বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: Scott Eisen/Getty Images/AFP)

কিছুদিন আগেই নােবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় করােনার টিকা নিয়ে কেন্দ্রের সক্রিয়তার অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। এবার অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক সমীক্ষক দল জানাল ভারতের যথেষ্ট সংখ্যক শিশু বিসিজি, পােলিও, হাম এবং ডিপিটি টিকা পায়নি। বহু শিশু এইসব টিকার একটি ডােজ নিয়েছে।

কিন্তু পরের ডােজ নেয়নি। শিশুদের অভিভাবকদের উৎসাহের অভাবে অথবা কোনও সমস্যার কারণে শিশুদের এই টিকাকরণে খামতি রয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে কোনও স্ক্রিনিংও হয়নি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। তৃতীয় ঢেউ আসার আগে, যখন কেন্দ্রীয় সরকার শিশুদের টিকা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক সেই সময় অভিজিং বিনায়কের নেতৃত্বে সমীক্ষক দলের এই পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে যথেষ্ট অস্বক্তিজনক।

প্রসঙ্গত ওষুধ ছাড়াই কোনও সংক্রামক রােগের বিরুদ্ধে প্রতিরােধ গড়ে তুলতে হলে টিকাকরণ জরুরি। টিকা নিয়ে যে রােগগুলির হাতে থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, এমন রােগে এখনও প্রতি বছর বিশ্বে ২০ লক্ষেরও বেশি শিশু মারা যায়। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে অনুযায়ী, ২০১৬ সালে দেশের ৬২ শতাংশ শিশু সব টিকা নিয়েছিল।

এর আগের সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল, নানাভাবে উৎসাহ দিয়ে বারবার মনে করিয়ে দিয়ে এবং এলাকায় ‘ভ্যাকসিন আম্বাসাডার’ নিয়ােগ করে টিকাকরণের হার বাড়ানাে যায়। অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তা পর একজন। নােবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এমতাবস্থার ডুফলের সমীক্ষক দল হরিয়ানার সাতটি জেলায় সমীক্ষা করে দেখেছে, ওই পদ্ধতিতে টিকাকরণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা।

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে হরিয়ানার টিকাকরণে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে সেখানকার সরকার। হরিয়ানায় ২৩ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে ৮৬ শতাংশ শিশুর টিকাকরণ হয়েছে। এই শিশুদের মধ্যে মাত্র ৩৯ শতাংশ ব ক’টি টিকা নিয়েছে। ১৫ মাস বয়স হওয়ার আগে হামের টিকা নিয়েছে ২০ শতাংশেরও কম শিশু।

সমীক্ষক দল সত্তরটি হেলথ সেন্টারে সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছে, কোনও শিশুকে তার বাবা অথবা মা টিকা দিতে আনলে তাকে মােবাইল কেনার টাকা দেওয়া হয়েছে।

মােবাইলে বারবার টেক্সট মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে সন্তানকে দ্বিতীয় ডােজ দেওয়ার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক গ্রামে কয়েকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা অভিভাকদের শিশুসন্তানদের টিকা দেওয়ার কথা মনে করিয়ে দেন।

হরিয়ানার প্রতিটি গ্রামে এরকম দু’জনকে নিয়ােগ করা হয়েছে। এভাবে টিকাকরণের হার ৫৫ শতাংশ বাড়ানাে গিয়েছে। কিন্তু হরিয়ানার মতাে দেশের বেশিরভাগ রাজ্যেও এই ভ্যাকসিন অ্যাম্বাসাডার না থাকায় সামগ্রিকভাবে দেশে শিশুদের পােলিও, হাম ইত্যাদির টিকাকরণ সুসম্পন্ন করা যাচ্ছে না।