• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

তালিবান শিবিরে পাঠ নিতে বাংলার তিন যুবক

বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে ঢুকে আফগানিস্তান পৌঁছে গিয়েছে ১৪ যুবক। তালিবানি আগ্রাসন শুরু হওয়ার সময়ই রওনা হয়ে গিয়েছিল এই বাংলাদেশি যুবকরা।

প্রতীকী ছবি (ছবিঃএসএনএস)

বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে ঢুকে আফগানিস্তান পৌঁছে গিয়েছে ১৪ যুবক। তালিবানি আগ্রাসন শুরু হওয়ার সময়ই রওনা হয়ে গিয়েছিল এই বাংলাদেশি যুবকরা। শুধু বাংলাদেশি যুবকরা নয় অসমের চার যুবকও রয়েছে ওই তালিকায়। এছাড়াও আরও তিন যুবকের গতিবিধিও বেশ সন্দেহজনক। তারা এই রাজ্য থেকে আফগানিস্তান গিয়েছে বলে খবর কেন্দ্রীয় গােয়েন্দাদের কাছে।

এসব তথ্য হাতে পেয়ে তা যাচাই করছেন গােয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় গােয়েন্দা সূত্রে খবর, সবমিলিয়ে ২১ জন যুবকের মধ্যে কেউ কেউ জঙ্গি হানায় রীতিমতাে দক্ষ। কাউকে আবার পাঠানাে হয়েছে প্রশিক্ষণের জন্য। এই পুরাে অপারেশনের পিছনে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই রয়েছে, এমনই মত গােয়েন্দাদের। এর সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশের জঙ্গি গােষ্ঠী জেএমবি ও হুজিরও অন্য রাজ্যের কেউ একই পথে পা বাড়াচ্ছে কি না, তা জানতে সক্রিয়তা বাড়িয়েছেন গােয়েন্দারা। এ বিষয়ে বিভিন্ন রাজ্য থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণের পাশাপাশি সন্দেহজনক গতিবিধির উপরও কড়া নজর রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

গােয়েন্দা দপ্তরের আরও খবর, তালিবানরা কাবুল দখল করার কয়েকদিন আগে থেকেই ওই যুবকরা আফগানিস্তানের পথে পা বাড়াতে শুরু করে। এমন খবরও তাঁদের কাছে এসেছে।

যে ১৪ জন বাংলাদেশি যুবক চোরাপথে আফগানিস্তানের দিকে গিয়েছে বলে খবর, তাদের একজন বা দু’জন করে দফায় দফায় সীমান্ত পার হয়েছে। গােয়ন্দাদের অনুমান, বিহার, উত্তরপ্রদেশ হয়ে প্রথমে জম্মু ও কাশ্মীর পৌঁছয় তারা।

এরপর আইএসআই মডিউলের সদস্যদের হাত ধরে সীমান্ত পার হয়ে তারা পাকিস্তানে পৌঁছয়। সেখান থেকেই পাড়ি দেয় আফগানিস্তানে। একইভাবে অসম থেকে চারজন ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে তিনজন এই পথেই গিয়েছে বলে মনে করছেন গােয়েন্দারা।

কেন্দ্রীয় গােয়েন্দাদের মতে যেহেতু পাকিস্তান তালিবানদের পাশেই রয়েছে, তাই এই যুবকদের আইএসআইয়ের মডিউলই মদত দিচ্ছে। তালিবানদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর তারা ফের নিজেদের জায়গায় ফিরে আসতে পারে, এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। তাদের ভারতে নাশকতার কাজেও ব্যবহার করা হতে পারে।