• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

তফশিলি জাতিদের জন্য বড় ঘােষণা মমতার চাকরিতে সংরক্ষণ, বাজেটে বরাদ্দবৃদ্ধি হয়েছিল, তার প্রায় প্রত্যেকটি পূরণ করা হয়ে গিয়েছে

পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজা যেখানে ওয়েস্ট বেঙ্গল শিডিউল কাস্ট অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল তৈরি হয়েছে। নিম্নকীয় মানুষদের জন্য আমরা করে দিয়েছি, তা আর কেউ পারেনি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo:SNS)

তফশিলি জাতির উন্নয়নে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য। বাড়ানাে হল বাজেট বরাদ্দ, চাকরিতে সংরক্ষণ বাড়িয়ে ২২ শতাংশ করা হল। বুধবার নবান্নে তফশিলি জাতির পুনর্গঠিত কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকে একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজা যেখানে ওয়েস্ট বেঙ্গল শিডিউল কাস্ট অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল তৈরি হয়েছে। নিম্নকীয় মানুষদের জন্য আমরা করে দিয়েছি, তা আর কেউ পারেনি। তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরেই তফশিলি জাতি ও উপজাতির উন্নয়নে পৃথকভাবে অনগ্রসর শ্রেণি উপদেষ্টা কাউ গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলাগড়ের বিধায়ক মনােরঞ্জন ব্যাপারী, মমতাবালা ঠাকুরসহ অন্যান্যরা। যা হবে হয়ে গিয়েছে। তফশিলিদের জন্য পেনশন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, শিক্ষাশ্রী, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির স্কুলসহ একাধিক প্রকল্পের কথা জানান মমতা। মু

খ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে তফশিলি পড়ুয়াদের জন্য ইংরেজি মাধ্যম স্কুল তৈরি হচ্ছে।’শিক্ষাশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে এদের পড়াশুনাের খরচ চলছে। এছাড়া এবার থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য তাদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া চালু হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই তফশিলি জাতির বহু মহিলা রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধে পেয়েছেন। তাদের ‘কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য রাজ্যের দুয়ারে সার’ কর্মসুচি যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছে। এদিনের বৈঠকে কাউন্সিলের সদস্যরা একাধিক সমস্যার কথা জানাতে মুখ্যমন্ত্রী তার সমাধানের পথও বাতলে দেন।

তবে রাজা সরকারের কোষাগারে অর্থের টান থাকায় কোনও বড় প্রকল্প এখনই হওয়া সম্ভব নয় বলেও জানিয়ে দেন মমতা মুখ্যমন্ত্রী জানান, তফশিলি শংসাপত্র পাওয়ার প্রক্রিয়া গত দশ বছরে অনেক সহজ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তফশিলি জাতিভুক্ত ১ কোটি ১৪ লক্ষ মানুষকে শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর মধ্যে শুধু গত এক বছরেই দেওয়া হয়েছে প্রায় ১৭ লক্ষ শংসাপত্র। ২০১২ সালের পর থেকে তফশিলিদের জন্য বাজেট বরাদ্দ ৩৬০ কোটি টাকা থেকে ছয় গুণ বেড়ে ২৭৭২ কোটি টাকা হয়েছে।

আগামী পাঁচ বছরে তফশিলিদের জন্য একশােটি নতুন স্কুল তৈরি করবে সরকার। ৭৩ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ শংসাপুত্র । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সতর্ক করে দিয়ে বলেন উন্নয়নের কাজে কোনও দলবাজি চলবে না। বিধায়ক নির্বাচিত হলে সবার জন্য কাজ করতে হবে, কোনও ভেদাভেদ করা চলবে না।

তবে তফশিলিদের জন্য কাজ করতে গিয়ে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখােমুখি হতে হচ্ছে। সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের জেরে তফশিলি জাতিদের জন্য সরকারি প্রকল্পের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। এজন্য দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ব্যাঙ্কের কাউন্টার রাখা হচ্ছে।

নির্বাচনী ইস্তেহারে তফশিলিদের জন্য ২০ লক্ষ পাকা বাড়ি করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, আগে কাঁচা বাড়িগুলিকে পাকা করা হবে। তারপর নতুন বাড়ি দেওয়ার কথা ভাবা হবে। এদিন কাউন্সিলের এক সদস্য জানিয়েছিলেন, তাদের এলাকায় অনেকে ত্রিপলের নীচে থাকতে হচ্ছে।

এর জবাবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, কারা ত্রিপলের নীচে থাকছেন, ড্রোন দিয়ে সার্ভে করা হবে। মমতা বলেন, নীচে থেকে সার্ভে করতে সময় লাগে ড্রোনের সাহায্যে পুরাে ম্যাপটা পাওয়া যাবে। অর্থাৎ প্রকৃত উপভােক্তাদের খুঁজতে এরা ড্রোনের সাহায্য নিতে চলেছে রাজ্য সরকার।

এদিন মমতালা ঠাকুরের একটি মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ নেন, নার্সিংয়ের ট্রেনিং থাকা সত্ত্বেও এখনও কতজনের চাকরি হয়নি। একইসঙ্গে প্যাথােলজিক্যাল ও ল্যাবরেটরি ট্রেনিং থাকা সত্ত্বেও কারা এখনও চাকরি পাননি তারও তালিকা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।