আফগানিস্তানের খােস্তা শহরে এবার কাফু জারি করল তালিবান। কট্টরপন্থী সংগঠনের দাবি, এই শহরে দাঙ্গা এবং বিশৃঙ্খলা এড়াতেই কার্ফু জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের কথায়, সাধারণ মানুষের প্রতিবাদী কণ্ঠ রােধেই এই পদক্ষেপ তালিবানের।
কাবুল দখলের পরেই উদারতার বাণী শােনা গিয়েছিল তালিবানের কণ্ঠে। কখনও তাঁরা জানাচ্ছিলেন, মেয়েদের কাজ করা নিয়ে। কোনও আপত্তি নেই, আবার কখনও বলছিলেন, ‘সকলকে ক্ষমা করতে প্রস্তুত।
কিন্তু দিন দিন খােলস ছেড়ে বেরিয়ে আসছে তালিবানের আসল চেহারা। আফগানিস্তানের এই শহরে সাধারণ মানুষ তালিবানের বিরােধিতা শুরু করেছিলেন। আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিলও করেছিলেন তারা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার সেখানে কাফু জারি করে তালিবান। শহরজুড়ে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে তালিবানের সুরক্ষা বাহিনী। লুঠ, দাঙ্গা এড়াতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার তালিবানের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, “আমরা চাই না কেউ দেশ ছেড়ে যাক। দেশজুড়ে সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ কাউকে অপহরণ করতে পারবে না । দিন দিন কাবুলের সুরক্ষা আরও বাড়ানাে হবে। আমাদের দেশ ২০ বছর আগেও মুসলিম রাষ্ট্র ছিল, আজও মুসলিম রাষ্ট্র রয়েছে।
আফগানিস্তানে কী নিয়ম কানুন লাগু করা হবে তা সরকার গঠনের পর বােঝা যাবে। তালিবান সরকার গঠনের জন্য সচেষ্টভাবে কাজ করছে। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানানাে হবে। সমস্ত বর্ডার এলাকা আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
যদিও আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ জানিয়েছিলেন, তিনিই আপাতত দেশের কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট। রাশিয়ান সংবাদ মাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, পঞ্জশির গর্জ এলাকায় আশেপাশের অঞ্চলগুলিতে তালিবানের সঙ্গে যুদ্ধ করছে আমরুল্লাহ সালেহর নেতৃত্বাধীন সেনা।
এই সংবাদ মাধ্যমের দাবি, ‘আমরুল্লাহ সালেহর নেতৃত্বাধীন সেনা ইতিমধ্যেই পারবান প্রদেশের চারিকা এলাকায় দখল নিয়েছে’।