২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা ভােট। বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে ক্ষমতা দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল। এক মাস ধরে তৃণমূলের রাজনৈতিক কার্যকলাপ রাজ্যে বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু ত্রিপুরাতে ঘাসফুল যাতে মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে, তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হলেন অমিত শাহ এবং জে পি নাড্ডা।
সম্প্রতি, দিল্লি সফরে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। জে পি নাড্ডা নিজেও ত্রিপুরা নিয়ে উৎসাহ দেখিয়েছেন। অন্যদিকে, অমিত শাহ হােমওয়ার্ক করে ত্রিপুরার মাঠে নামতে চলেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে, আগামী ১৬ আগস্ট ত্রিপুরাতে যাচ্ছেন তৃণমূলের চার সাংসদ এবং কয়েকজন মন্ত্রী। ত্রিপুরায় বিজেপি বিরােধিতায় শাসক দল বামেদেরও কাছে টানতে চায় তৃণমূল। তার কারণ ২০১৯ লােকসভা নির্বাচনে বামেদের ভােট পশ্চিমবঙ্গে চলে গিয়েছিল বিজেপির ঝুলিতে। ১৮ টি লােকসভা আসনে বিজেপি জয়ী হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে।
যদিও ২০২১ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বামেন্দ্রে ভােট অনেকটাই গিয়েছে তৃণমূলের ঘরে। ফলে বামেদেরকে ত্রিপুরায় বন্ধুত্বের বার্তা দিচ্ছে তৃণমূল। শুক্রবার ত্রিপুরার মাটিতে পা রেখে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘ত্রিপুরার বামেদের সঙ্গে পশ্চিমবাংলার বামেদের পার্থক্য আছে। তাঁর এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মন্ত্রী, যিনি দীর্ঘদিন বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন, প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী ক্ষিতি গােস্বামীর মেয়ে বসুন্ধরা গােস্বামীও ত্রিপুরায় এসেছেন। সব মিলিয়ে ত্রিপুরায় বামেদেরকেও পাশে পেতে চাইছে তৃণমূল। লক্ষ্য একটাই, কোনওভাবে বামেদের ভােট যেন ত্রিপুরাতে বিজেপিতে না চলে যায়।