• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

বিজেপির ক্ষেত্রে মহামারি আইন কোথায় ? পুলিশকে প্রশ্ন কুণালের

ত্রিপুরার খােয়াইয়ে থানায় বসে আধিকারিকের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘােষ, ব্রাত্য বসু, নেত্রী দোলা সেন।

কুণাল ঘােষ (Photo: IANS)

ত্রিপুরার খােয়াইয়ে থানায় বসে আধিকারিকের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘােষ, বিধায়ক তথা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, নেত্রী দোলা সেনরা। পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে দোলা সেন বলেন, “আর মাত্র ১৭ মাস!

অন্য দিকে কুণালের প্রশ্ন, থানা ঘেরাও করে রাখা বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মহামারি আইন কেন প্রয়ােগ করছে না পুলিশ। শুধু মাত্র তৃণমূলের বিরুদ্ধে ই কেন পদক্ষেপ করছে তারা। রবিবার সকালে ত্রিপুরা পৌঁছে সােজা থানায় যান অভিষেকরা। কোন অভিযােগের ভিত্তিতে দলের ১১ যুব নেতা-নেত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই নথি দেখতে চান তাঁরা।

দোলা বলেন, “আর মাত্র ১৭ মাস বাকি। কেন এখনও দালালি করছেন। বিজেপি-র দালালি ছাড়।” অন্য দিকে কুণাল ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে প্রশ্ন করেন, “বাইরে যে ৫০০ জন বিজেপি কর্মী বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে মহামারি আইন প্রয়ােগ হচ্ছে না কেন। তা হলে কেন তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতার করা।

তাঁকে পুলিশ আধিকারিক কিছু একটা বলতে গেলে কুণাল পাল্টা বলেন, “আমাকে আইন শেখাবেন না। আপনিও জানেন আপনি কী করছেন। যতক্ষণ না ধৃত নেতাদের ছাড়া হচ্ছে এবং বাইরে বিক্ষোভ দেখানাে কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে ততক্ষণ তারা থানাতেই বসে থাকবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক।

রবিবার সকালে ত্রিপুরায় থাকা যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য, যুব নেতা সুদীপ রাহা, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেত্রী জয়া দত্ত সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে মহামারি আইন প্রয়ােগ করা হয়েছে।

তার পরেই আগরতলা পৌঁছে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিষেক বলেন, “বিজেপি ত্রিপুরাকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তিতে পরিণত করেছে। বিপ্লব দেব ভাবছেন, তাঁর কাছ থেকে ভিসা নিয়ে তবেই রাজ্যে পা রাখতে পারবেন বিরােধীরা।

যাঁরা বড় বড় ভাষণ দেন, গণতন্ত্রের কথা বলেন, তাঁদের হাতে ত্রিপুরার গণতন্ত্রের কী অবস্থা, রাজ্যবাসী তা দেখছেন। যাঁরা এঁদের চ্যালেঞ্জ করছে, তাঁদের ধরে ধরে জেলে ঢােকানাে হচ্ছে।”