প্রসার ভারতীর প্রাক্তন অধিকর্তা জহর সরকারকে তৃণমূলের প্রার্থী মনােনীত করলেন তৃণমূল সুপ্রিমাে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার দলের টুইটার হ্যান্ডলে সে কথা ঘােষণা করা হয়। জন পরিষেবায় ৪২ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন জহরকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করা হচ্ছে বলে জানায় তারা।
শনিবার তৃণমূলের ঘােষণার পরই জহর সরকারের সঙ্গে যােগাযােগ করা হলে তিনি বলেন, “অনেক দিন পর শনিবার সকালে উনি (মমতা) ফোন করেন আমাকে জানান, রাজ্যসভার জন্য দলের তরফে আমাকে ভাবা হচ্ছে। জানতে চান, আমি এই প্রস্তাবে রাজি কি না। একটু ভেবে বলি, কোনও আপত্তি নেই। তার পরই দলের তরফে আনুষ্ঠানিক ঘােষণা করা হয়।
অবসর প্রাপ্ত আইএএস অফিসার জহরের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের সম্পর্ক আগাগােড়াই ভাল। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে মমতা সরকারের টানাপড়েনের সময়, আলাপনেরই পক্ষ নিয়েছিলেন তিনি।
আলাপনকে দিল্লিতে তলব করায় মােদী-শাহ পাগল হয়ে গিয়েছেন বলে টুইটারে মুখ খুলেছিলেন তিনি। সেই সময় তিনি লিখেছিলেন, ‘মােদী-শাহ কি পাগল হয়ে গিয়েছেন? পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবসর নিতে। আর একদিন বাকি।
এখন তাঁকে দিল্লিতে বদলি করা হচ্ছে? মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আরও তিন মাস পদে থাকুন। ঘূর্ণিঝড়ের ত্রাণ বণ্টন এবং করােনার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় ব্যাঘাত ঘটাতে উদ্দেশ্যপ্রণােদিত অন্তর্ঘাত এটা। বাংলার ৪৮ শতাংশ মানুষ বিজেপি-র বিরুদ্ধে ভােট দেওয়ার বদলা।’
নাম ঘােষণার পর রাজ্যের তৃণমুল মুখপাত্র কুণাল ঘােষ টুইটারে লেখেন, ‘রাজ্যসভায় যাচ্ছেন জহর সরকার। একজন কৃতী ছাত্র, দেশের সর্বোচ্চ মহলে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করা অন্যতম সেরা ও অভিভজ্ঞ আমলা, একজন রুচিশীল, অসাধারণ জ্ঞানী, সুপটু লেখক ও বাপ্পীকে মনােনয়ন দিল তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ ৰ্বিাচিত হন দীনেশ ত্রিবেদী। ২০২৬ সালের ২ এপ্রিল পর্যন্ত মেয়াদ ছিল তাঁর। কিন্তু গত ১২ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকেও বেরিয়ে আসেন দীনেশ যােগ দেন বিজেপি-তে। সেই জায়গাতেই এ বার জহরকে পাঠানাের তােড়জোড় শুরু করে দিল তৃণমূল। আগামী ৯ অগস্ট ওই আসনে উপনির্বাচন এবং ফল ঘােষণা।