রাজনীতির প্রতি তার তেমন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু দীর্ঘসময় তিনি সরকারি কাজে যুক্ত থাকার জন্য প্রশাসন কীভাবে পরিচালনা করতে হয়, তা জহর সরকারের অজানা নয়। কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমাে তাকে রাজ্যসভায় পাঠানাের জন্য মনােনীত করেছেন।
এই প্রসঙ্গে প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও সংবাদমাধ্যমকে জানান, মােদি সরকারের মুখােশ খুলে দেওয়াটাই প্রধান লক্ষ্য। দেশ সেভাবে চলছে না, যেভাবে চলা উচিত। দেশের সংসদে গিয়ে আমি সেই কথাটাই বলতে চাই।
রাজনৈতিক দলের হয়ে সংসদে যাওয়ার সেটাই কারণ। মমতার সঙ্গে জবাবুর পরিচয় অনেকদিনের। সরকারি চাকরিতে থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে নাম ধরে ডাকতেন এবং তুই বলে সম্বােধন করতেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন, সেই সময় জহর সরকার দিল্লিতে সংস্কৃতি মন্ত্রকের সচিব ছিলেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব ছিলেন সমর ঘােষ। তৃণমূলের অলিন্দে খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন জহর সরকার রাজ্যে ফিরে এসে মুখ্যসচিরে দায়িত্ব নিক।
কিন্তু জহরবাবু নাকি সেই সময় রাজি হননি। কারণ সেই সময় তিনি নাকি জানিয়েছিলেন, রাজ্যে যিনি মুখ্যসচিব রয়েছেন, তিনি যথেষ্ট যােগ্য ব্যক্তি। যদি সমর ঘােষের চাকরির মেয়াদ বাড়ানাে হয়, তাহলে আখেরে মমতা প্রশাসনেরই লাভ হবে।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে সমরবাবু মুখ্যসচিব হয়েছিলেন। পরে দেখা যায় সমরবাবুর মুখ্যসচিব পদের মেয়াদ ৬ মাস বৃদ্ধি করেন মমতা। এরজন্য প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপও তিনি নেন।