‘কেন তিনগুণ দামে যুদ্ধবিমান কেনা হল জানিনা’ রাফায়েল কান্ডে মােদিকে তােপ তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের। তদন্তের দাবি তােলা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ও পক্ষপাতিত্বের অভিযােগে ইতিমধ্যেই ফরাসি সরকার বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
এদিন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় জানান-৫২৬ কোটি টাকা দামে যে যুদ্ধবিমান কেনার কথা হয়েছিল তা পরে ১৬৭০ কোটি টাকাতে কেনা হল। তা কেউ জানেনা। যুদ্ধ বিমানের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তােলেন এই তৃণমূল সাংসদ।
পাশাপাশি সুখেন্দুশেখর রায় জানিয়েছেন- সোমবার দিল্লিতে তৃণমূলের এক প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছেন। সেখানে রাফায়েলে যুদ্ধবিমান দুর্নীতির তদন্ত দাবি সহ বাংলার রাজ্যপাল অপসারণের দাবি রয়েছে। সেইসাথে তৃনমূল কংগ্রেসের ‘দিদিকে বলাে’ কর্মসূচিতে যেভাবে দুর্নীতিবাজদের দল বিতাড়িত করেছিল, তা কখনােই বিজেপি দল হিসাবে পারবেনা বলে দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেন্দ্র রায়।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে রাফায়েল কান্ডে নয়া মােড় দেখা যায়, দুর্নীতির খোঁজ পেতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয় ফরাসি সরকার। রাফায়েল যুদ্ধবিমান চুক্তি ঘিরে দুর্নীতির তদন্তর নির্দেশ দিয়েছে ফ্রান্সের আর্থিক অপরাধ দমন সংক্রান্ত বিভাগ পিএনএফ।
রাফায়েল যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা দাসাে এভিয়েশনের মধ্যস্তকারীকে ১০ লক্ষ ইউরাে (প্রায় ৯ কোটি) উপহার দেওয়া হয়। এই উপহার খাতা-কলমে থাকলেও বাস্তবে অস্তিত্বহীন। তা ফ্রান্সের এক সংবাদমাধ্যম নথিপত্র সহ সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। দুর্নীতি বিরােধী এক সংগঠন তা আবার লিখিত অভিযােগ করে ফ্রান্সের আর্থিক অপরাধ দমন সংক্রান্ত বিভাগে। তাই এই বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ বলে জানা গেছে।
২০১৮ সালে এইরুপ অভিযােগ তথ্যপ্রমাণের অভাবে খারিজ করে দিয়েছিল ফরাসি সরকার। তবে এবার নথিপত্র দিয়ে সংবাদ প্রকাশই বাধ্য করালাে তদন্তের জন্য।
গত ২০১৬ সালে মােদি সরকার ৫৯ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে ৩৬ টি রাফায়েল যুদ্ধ বিমান কিনেছিল ফরাসির এই সংস্থার কাছ থেকে। এবার রাফায়েল কান্ডে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশে চাপে পড়ে গেল মােদির সরকার বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে তৃণমূল বিষয়টি সর্বভারতীয় স্তরে নিয়ে যেতে যায়। তার ফলস্বরূপ আজ অর্থাৎ সােমবার রাষ্ট্রপতির দরবারে রাফায়েল কান্ডে দুর্নীতি সহ রাজ্যপাল অপসারণ নিয়ে স্মারকলিপি দেবে তৃণমূল কংগ্রেস।