কলকাতার তৃণমূল ভবনে মুকুল রায় আনুষ্ঠানিক যােগদানের পরে পরেই কেন্দ্রীয় বিজেপির পদাধিকারীর সংখ্যা কমে গিয়েছিল। ওয়েবসাইটে ১৩ জন সহ-সভাপতি কমে হয়ে গিয়েছিল ১২।
সেই সন্ধ্যাতাতেই ওয়েবসাইট থেকে মুছে দেওয়া হয়েছিল মুকুলের ছবি ও নাম। নেমপ্লেট তােলার পর সেখানে লাগানাে হল দুই কেন্দ্রীয় নেতার নাম- অমিত মালব্য এবং অরবিন্দ মেনন।
দু’জনেই রাজ্য বিজেপি-র সহ পর্যবেক্ষক। সেই সঙ্গে অমিত বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি সেলের প্রধান এবং অরবিন্দ সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকদের অন্যতম।
রাজ্য বিজেপি-র হেস্টিংসের দফতর থেকেই বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা হয়েছিল। সর্বভারতীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং মুকুলের জন্য বরাদ্দ ছিল পাশাপাশি ৮০২ এবং ৮০৩ নম্বর ঘর। মুকুলের ঘরের ভিতরে আরও একটি ঘর রয়েছে। সেখানে সাধারণত বিশ্রাম নিতেন আপাতত কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক। তবে বিধায়ক হওয়ার পরে সে ভাবে ওই ঘরে যাননি মুকুল।
এখন সেই দু’টি ঘরেই বসবেন অমিত ও অরবিন্দ। দু’জনেই এতদিন বসতেন অষ্টম তলের একটি ঘরে। বিজেপি-তে যােগদান এবং নন্দীগ্রামের প্রার্থী হওয়া শুভেন্দু বসতেন অষ্টম তলায়। বিরােধী দলনেতা হওয়ার পরে তিনি উঠে এসেছেন নবম তলায়। ওই তলার প্রথম ঘর ৮০১ এখন শুভেন্দুর হেস্টিংসের ঠিকানা। অষ্টম তলায় আরও কিছু বদল এসেছে।