শনিবার ফের দলবদলের জল্পনা উস্কে দিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ ফিরােজ কামাল গাজি ওরফে বাবু মাস্টার সাক্ষাৎ করলেন মুকুল রায়ের সঙ্গে। মুকুলের দলবদল করে তৃণমূলের আসার পর, তাঁর সঙ্গে বাবু মাস্টারের এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সেই সূত্রেই জোরালাে হচ্ছে বাবু মাস্টারের ফের দলবদলের সম্ভাবনা। দীর্ঘ দিন পর মুকুল-সাক্ষাৎ ফের প্রাসঙ্গিক করে তুলল তাঁকে। তবে দলবদলুদের তৃণমুলে যােগদানের ক্ষেত্রে ‘আগে এলে আগে সুযােগ’, এমন মনােভাব যে পােষণ করা হচ্ছে না তা বার বার স্পষ্ট করে দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বরং যে বাছাই করে নেওয়া হবে তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে জোড়াফুল শিবিরের তরফে। অন্তত ২১ জুলাই শহিদ দিবস’-এর আগে পর্যন্ত দলবদলুদের জন্য দরজা খুলবে না বলেই তৃণমূল শিল্পি সূত্রে খবর। বাবুও সেই দলেই পড়েন। মুকুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বাবু মাস্টার।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে বিধানসভা ভােটের আগে বিজেপিতে যােগদান করেছিলেন বাবু মাস্টার। সিপিএম এবং তৃণমূল ঘুরে তিনি গিয়েছিলেন বিজেপি-তে। বাবুকে দলে নেওয়া নিয়ে দু’ভাগ হয়ে গিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। মত ছিল না সঙেঘরও।
বিজেপির আদি নেতাদের বক্তব্য, সিপিএম এবং তৃণমূলে থাকার সময়ে তাঁদের বহু কর্মীর উপরে অত্যাচারের অভিযােগ রয়েছে বাবুর বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই আপত্তি টেকেনি। নব্যদের চাপেই বিজেপি-তে যােগ দেন বাবু।
অন্যদিকে, ভােটের ঠিক আগেই, বাবু মাস্টার মিনাখাঁয় হামলার মুখে পড়েন। বিজেপি অভিযােগ তােলে, বাবুর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি এবং বােমা ছুড়েছে তৃণমূল। জখম অবস্থায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
তাঁকে হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং শঙ্কুদেব পণ্ডা। বাবুর উপর হামলার বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয় তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে।