একুশে বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় আশাতীত জয় পেয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। মন্ত্রীসভা গঠন পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক রদবদল ঘটেছে। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে। তিনি আগামী একমাসের মধ্যে রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে ভিনরাজ্যে তৃণমূলের সংগঠনকে মজবুত করতে চান। এক সপ্তাহের মধ্যেই হয়তাে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ভিন রাজ্যে সংগঠন বাড়ানাের কর্মসূচি ঘােষণা করা হতে পারে।
ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে তৃনমূলের ভােটকুশলী প্রশান্ত কিশাের মহারাষ্ট্র রাজ্যে শরদ পাওয়ারের সাথে সভা সেরেছেন। পাশাপাশি আবার দলের পুরাতন ছেলে মুকুল রায় ঘরে ফিরেছেন। মুকুল বাবু বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে ছিলেন। তাই তাঁর ভিনরাজ্যে যােগাযােগ থাকাটা অস্বাভাবিক নয়।
আগামী বছরের মণিপুর রাজ্যে রয়েছে বিধানসভার ভােট। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের ফোকাস এখন মণিপুর। ইতিমধ্যেই মণিপুরে আঞ্চ লিক দলগুলির নেতাদের সাথে প্রাথমিক কথাবার্তা শুরু করে ফেলেছে এই রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব।
দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘৪ থেকে ৫ বিধায়ক জেতার জন্য মণিপুরে লড়বে না তৃণমূল। ওখানে জিতবার জন্য আমরা লড়বাে’। ৬০ আসন বিশিষ্ট মণিপুরে গতবারে কংগ্রেস পেয়েছিল ২৮ টি আসন এবং বিজেপি পেয়েছিল ২১ টি আসন। সেইসাথে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ১ টি আসন। কম আসন পেয়েও বিজেপি আঞ্চলিক দলগুলির সাথে সরকার গড়েছে। যদিও এই সরকার সবসময় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটাচ্ছে।
তৃণমূলের প্রতীকে রবীন্দ্র সিং জিতলেও তিনি পরে বিজেপিতে যােগ দেন। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং-এর কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস ভােটের ফলাফলে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। বর্তমানে বিজেপির ৩ বিধায়ক দলবদল করে চলে এসেছেন কংগ্রেসে। তাই বিজেপি সরকার টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখােমুখি অবস্থায় রয়েছে।
আগামী বছরে মণিপুর রাজ্যে রয়েছে বিধানসভার ভোট। তাই বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস মণিপুরকে ফোকাস রেখে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার রণনীতি তৈরি রাখছে। যা বিজেপির কট্টর বিরােধী হিসাবে তৃণমুল ক্রমশ গ্রহণযােগ্যতা বাড়াচ্ছে বাংলার বাইরের মাটিতে।