মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে যারা নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধি করেছে, তাঁদের এক জনকেও রেয়াত করা হবে না, তদন্ত হবে। তাজপুরের সেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিদর্শনে এসে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের ফের হুশিয়ারি দিলেন সাংসদ তথা তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, আমার তাে মনে হয়, কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরােবে। একটা পরিবারকে বাঁচাতে গােটা জেলার সর্বনাশ করা হল। আমি কথা দিচ্ছি, কেউ রেহাই পাবে না। চুরি ধরা পড়বেই।
বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরেও যান তিনি। সেখানে তার সঙ্গে ছিলেন রামনগন্ত্রে বিধায়ক তথা রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। দুপুর ১ টা নাগাদ অভিষেক হেলিকপ্টারে নামেন দিঘায়। সেখান থেকে তাজপুরে যান। কথা বলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। ঝড়ে ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়া মানুষকে অভিষেক প্রশ্ন করেন, আপনারা ঠিক মতাে খাওয়াদাওয়া করছেন তাে? খাবার পাওয়া যাচ্ছে?’
স্থানীয়রা দাবি তােলেন, খাবার নয়, আগে বাঁধ ঠিক করতে হবে। অভিষেক বলেন, ‘হবে। সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যাঁরা কাজ করেছিল, তাঁদের দুর্নীতি ধরা হবে। পাশাপাশি নতুন করে কাজ শুরু হবে।’
এরপর স্থানীয়দের দুয়ারে ত্রাণ কর্মসূচির কথাও মনে করিয়ে দেন অভিষেক। স্থানীয় প্রশাসনের আকিাকিদের কাছে জানতে চান রাস্তা ও বাঁধ এর বিষয়ে। জানতে চান এই বাঁধের দায়িত্বে কোন দফতর? রাস্তাই বা কাদের আওতায়?
প্রশাসনিক অধিকারিক উত্তর দেন, ‘বাঁধ সেচ দফতরের। আর রাস্তা দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের।’ মাথা নেড়ে এগিয়ে যান বিরক্ত অভিষেক। অভিষেক বলেন, ‘যাঁরা এই অংশের উন্নয়নের দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা মানুষের জীবনের সঙ্গে ছেলেখেলা করেছেন। এর থেকে লজ্জাজনক কিছু হতে পারে না। জেলার একজনকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেচমন্ত্রী করেছিলেন। যাতে জেলার মানুষের কষ্ট তিনি বুঝতে পারেন। কিন্তু নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করেছেন তিনি। নিজের মেরুদণ্ড বিক্রি করে তিনি অন্য দলে যােগ দিয়েছেন। মানুষের অর্থ সরিয়ে নিজের সম্পদ বাড়িয়েছেন। আমি বাকরুদ্ধ।’
বুধবারও অভিষেক নাম না করে শুভেন্দুকে বাধ দুর্নীতি নিয়ে আক্রমণ করেছেন। তা নিয়ে কটাক্ষও করেছিলেন শুভেন্দুও। নাবালকের প্রশ্নের উত্তর দিতে চান না বলে এড়িয়েছিলেন অভিষেক-প্রসঙ্গ।