লকডাউনের জেরে নাজেহাল মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। বিক্রির অভাবে নষ্ট হচ্ছে তৈরি করা মিষ্টি। তাই সেই মিষ্টি ফেলে দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ময়নাগুড়ির টেকাটুলি বাজারের এক মিষ্টি ব্যবসায়ী অমিত মােদক।
এই অবস্থায় মিষ্টি ব্যবসায়ীর প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের দাবি জানিয়েছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। রাজ্যে করােনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে জারি করা হয়েছে লকডাউন। লকডাউন চলবে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত।
এই লকডাউনে মিষ্টি দোকান খােলা থাকছে সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। কিন্তু দোকান খােলা থাকলেও বিক্রি একদম নেই বলে অভিযােগ মিষ্টি ব্যবসায়ীদের। তাদের অভিযােগ, সকাল সাতটা থেকে দশটা পর্যন্ত হাট বাজার খােলার অনুমতি রয়েছে আর সে সময় মিষ্টির দোকান বন্ধ।
আর যে সময় মিষ্টির দোকান খােলার অনুমতি রয়েছে তখন কার্যত হাট বাজার জন মানব শূন্য থাকে। ফলে দোকান খােলা থাকলেও বিক্রি নেই মিষ্টি জাতীয় সামগ্রীর। তাছাড়া মিষ্টির দোকানে যে কৰ্মীরা থাকেন তাদের খরচ যােগাতেও হিমশিম খাচ্ছেন দোকান মালিকরা।
কাঁচামাল হিসাবে প্রতিদিন কয়েক লিটার দুধ কিনে মিষ্টি বানাতে হয়। কিন্তু মিষ্টি বিক্রি না হওয়ায় প্রায় প্রতিদিন লােকসানের মুখে পড়তে হয় তাদের। টেকাটুলি বাজারের মিষ্টি বক্সায়ী অমিত মােদক বলেন, প্রায় তিন হাজার টাকার মিষ্টি ফেলে দিলাম। এরকম প্রতিদিন ফেলে দিতে হয়। আজ থেকে দোকান বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছি।