• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মােদি-মমতার বৈঠক আজ কলাইকুণ্ডায়

বুধবার ইয়াসের তাণ্ডব কমে যাওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন শুক্রবার থেকে দুর্যোগ কবলিত তিন পরিদর্শন করবেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (File Photo: Twitter/@BJP4India) এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

বুধবার ইয়াসের তাণ্ডব কমে যাওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন শুক্রবার থেকে দুর্যোগ কবলিত তিন পরিদর্শন করবেন। বৃহস্পতিবার শােনা যায় ইয়াস পরিস্থিতি দেখতে আজ শুক্রবার রাজ্যে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। ইয়াস-এর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কলাইকুণ্ডায় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে আজ বৈঠক হওয়ার কথা মােদি-মমতার।

কলাইকুণ্ডায় এই বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী একসঙ্গে হেলিকপ্টারে পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন। এরপরে প্রধানমন্ত্রী কলাইকুণ্ডা থেকে দিল্লি ফিরে যাবেন। শুক্রবার কলাইকুণ্ডা আসার আগে ওড়িশার ভুবনেশ্বরে নামবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।

সেখান থেকে আকাশপথে বালাশাের, ভদ্রক ইত্যাদি ওড়িশার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী। নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরেই কলাইকুণ্ডায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে করবেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে কপ্টারে পূর্ব মেদিনীপুর পরিদর্শনে যাবেন মােদি মমতা। শুক্রবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথমে যাওয়ার কথা রয়েছে সন্দেশখালি, ধামাখালি ইত্যাদি জায়গায়। আকাশপথে এইসব এলাকা পরিদর্শনের পরে বসিরহাটে প্রশাসনিক বৈঠকের সুচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সেখান থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার এলাকা পরিদর্শনের পরে হেলিকপ্টারে এসে নামবেন সাগরে।

সেখানে বিএসএনএল-এর ব্যবস্থাপনায় জুম মাধ্যমে পূর্ব নির্দিষ্ট সময়ে প্রশাসনিক বৈঠক সারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যােগ দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সেই বৈঠক সেরে আজ শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী দীঘায় পৌছলেও সেখানে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন পরের দিন অর্থাৎ শনিবার।

ইতিমধ্যেই জেলাগুলির কাছ থেকে ক্ষয়ক্ষতির রিপাের্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাওয়া সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে ১৫ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

ফিল্ড সার্ভে করে ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ চিত্র পেতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থাৎ আজ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে সমস্ত ক্ষয়ক্ষতির হিসেব হাতে আসা সম্ভব নয়।

গত বছর আমফানের পরেও বাংলার দুর্যোগ কবলিত অঞ্চল পরিদর্শনে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী একযােগে কপ্টারে এলাকা পরিদর্শনের পরে বসিরহাটের একটি স্কুলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেই সময় প্রাথমিকভাবে এক হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘােষণা করেছিলেন মােদি।

এবার ইয়াস আসার আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওড়িশার জন্য ৬০০ কোটি এবং বাংলার জন্য ৪০০ কোটির আর্থিক প্যাকেজের কথা ঘােষণা করেছিলেন। এই বৈষম্য নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দেখার আজ শুক্রবারের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলার জন্য স্পেশাল কোনও আর্থিক প্যাকেজ ঘােষণা করেন কিনা।