ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতে থাকবেন খুনের মামলায় জড়িত অলিম্পিকে পদকজয়ী ভারতীয় কুস্তিগীর সুশীল কুমার। শনিবার গ্রেফতার হওয়ার পর রবিবার পুলিশের তরফ থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তিনি স্বীকার করে নিলেন তরুণ কুস্তিগীর সাগর রানা হত্যাকাণ্ডের দিন ছত্ৰসাল স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন।
দিল্লি রােহিনী আদালতের নির্দেশে সুশীল ছয়দিন পুলিশি হেফাজতে থাকবেন। প্রথমে বারােদিনের হেফাজত চাওয়া হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে। আদালত পরে তা কমিয়ে দিয়ে ছয়দিন করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বিশেষ তদন্তকারী দল সুশীলকে প্রায় আধঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
সেখানেই সুশীল স্বীকার করেন, ঘটনার দিন তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন তা স্বীকার করে নেন। এটাও বলেন, সাগরকে যারা মেরেছে, তারা তার বন্ধু। ঘটনার পর নিজের বাড়িতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সুশীলের বর্ণনা শুনে কিছুটা বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন তদন্তকারী পুলিশের কর্তারা।
সুশীল বলেন, পালিয়ে বেড়াতে গিয়ে টাকা শেষ হয়ে আসছিল। তাই সঙ্গী অজয় কুমারকে নিয়ে স্কুটারে করে মুন্ডাকা এলাকায় এক বন্ধুর থেকে টাকা নিতে যাচ্ছিলাম। আমার নির্দেশেই প্রিন্স নামের এক ব্যক্তি সাগরকে হত্যা করার ঘটনা মােবাইলে রেকর্ডওকরে রাখে।
তিনি আরাে বলেছিলেন, এই ভিডিও যেন ভাইরাল করে দেওয়া হয়, যাতে ভবিষ্যতে কেউ তাঁকে ঘাঁটানাের সাহস না দেখায়। সেই ভিডিওই সুশীলকে শেষপর্যন্ত বিপাকে ফেলল। সুশীলের কাণ্ডে কলঙ্কিত ভারতীয় ক্রীড়ামহল।
বক্সার বিজেন্দ্রর সিং বলেন, ভারতের খেলাধুলাের জন্য সুশীল যা করেছে তা কোনওদিন কেড়ে নেওয়া যাবে না। এটাই আমার বলার। টেবল টেনিস খেলােয়াড় শরথ কমল বলেন, যদি সত্যি সুশীল দোষী হয়ে থাকে তবে তা দুর্ভাগ্যজনক। শুধু কুস্তি নয়, এর প্রভাব অন্যান্য খেলাধুলাের উপরও পড়তে পারে।