• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

লালগড়ে গ্রামে গ্রামে করােনা সচেতনতার প্রচার 

করােনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর থেকেই রােজদিন সারা রাজ্য জুড়ে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।

প্রতীকী ছবি (File Photo: AFP)

করােনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর থেকেই রােজদিন সারা রাজ্য জুড়ে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই করােনার সংক্রমন ঠেকাতে সারা রাজ্য জুড়ে জারি হয়েছে কড়া লকডাউন। 

এই সময় গ্রামের মানুষজনেরা প্রয়ােজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যায় তার জন্য করােনা ভাইরাস নিয়ে সচেতন করলেন বিনপুর এক ব্লকের লালগড়ে বিভিন্ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দিদিমণিরা। লালগড়ের কাটাপাহাড়ি, বামাল, তাড়কি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দিদিমণিরা বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে করােনা ভাইরাস নিয়ে সচেতন করেন। 

ব্লক স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন তাড়কি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পূর্ণাপাণি, রাউতাড়া ও রাঙামেটিয়া গ্রাম ও কাটাপাহাড়ী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেলখেড়িয়া, নাড়িচা, হাডুলিয়া গ্রাম এবং বামাল উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বামাল, কমখন্ডি ও দামুজানা গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষজনকে সচেতন করেন। 

কাটাপাহাড়ি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দিদিমণি মৌমিতা মাইতি, বামাল উপস্থাস্থ্য কেন্দ্রের দিদিমণি সৃজুতি খাঁড়ারা বলেন, আমরা বিভিন্ন গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষজনদেরকে বলছি যাতে অতি প্রয়ােজন ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ না যায়। মাস্ক ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে বলছি, একসাথে বসে আড্ডা বা জামায়েত যাতে না করে তার জন্যও বলে আসছি। দূরত্ব বজায় রেখে বাজার হাট করার জন্য বলছি। এছাড়াও গ্রামে কারাে সর্দি জ্বর বা অন্য যেকোনাে শারীরিক সমস্যা হলে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা করানাের জন্য মানুষকে বলছি। 

উল্লেখ্য করােনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর থেকেই পুলিশ প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যরা রাস্তায় নেমে সচেতন করছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও দ্বিতীয় ঢেউএ এবার গ্রামীন এলাকায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমনের হার দেখা যাচ্ছে। এই গ্রামীন এলাকায় করােনার সংক্রমন কমাতে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দিদিমণিরা গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতন করছেন মানুষকে।