চিকিৎসা পরিষেবা ক্রমশ মহার্ঘ হয়ে উঠছে। এই অভিযােগ এবারই নতুন নয়। সম্প্রতি এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি তার অভিজ্ঞতার কথা এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, তার কাকা কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলেন বাইপাসের একটি প্রথম সারির বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে ২৪ দিনে চিকিৎসার খরচ কমবেশি দেওয়া হয়েছে ১৮ লক্ষ টাকা।
এখানেই প্রশ্ন অভিনেতার। এই মহার্ঘ চিকিৎসা পরিষেবা রাজ্যের নাগরিকরা নিতে পারবেন তাে? সবার পক্ষে কি এই ব্যয় বহন করা সম্ভব? যদিও এবিষয় নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, তাঁর কাকা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভেন্টিলেশনে স্থানান্তরিত করেন কাকাকে।
একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর কাকা করােনামুক্ত হন। কিন্তু আক্রান্ত হন অন্য সংক্রমণে। ফের তাকে পাঠানাে হয় ভেন্টিলেশনে। সাময়িক সুস্থ হলেও হাসপাতাল তাকে বাইপ্যাপে রেখেছিল। কাকা সুস্থ হয়ে উঠছিলেন এমশ। ছেড়ে দেওয়া হবে বলা হয়েছিল গতকাল। কিন্তু তার আগেই মারা যান কাকা। দেহ আনার আগে ধরিয়ে দেওয়া হয় ১৮ লক্ষ টাকার বিল।
এই বিল দেখে চমকে যান সাহেব। অক্সিজেন, শয্যা, মাস্ক, করােনার ওষুধ নিয়ে কালােবাজারির অন্ত নেই, এমনটাই অভিযােগ তিনি শুনেছেন। কিন্তু তা বলে গােটা চিকিৎসা পরিষেবা এতটাই দামি হয়ে উঠেছে তা কল্পনা করতেই পারেননি সাহেব চট্টোপাধ্যায়।