• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

রাজ্যপালের ‘অনুমতি’ বেআইনী, বিধানসভার অধ্যক্ষ

কোন সাংসদকে গ্রেপ্তার করতে গেলে যেমন লােকসভার অধ্যক্ষের অনুমতি লাগে। ঠিক তেমনি রাজ্যের বিধায়কদের গ্রেপ্তারে বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি আবশ্যিক।

শোভন চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখার্জি,ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র (Photo: IANS)

সােমবার সাতসকালেই রাজ্যের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী সহ তিনজন বিধায়ক সর্বমােট চারজন সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। কোন সাংসদকে গ্রেপ্তার করতে গেলে যেমন লােকসভার অধ্যক্ষের অনুমতি লাগে। ঠিক তেমনি রাজ্যের বিধায়কদের গ্রেপ্তারে বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি আবশ্যিক।

তাও কলকাতা হাইকোর্ট সম্প্রতি নারদা মামলায় বিধায়কদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে সিবিআইকে অধ্যক্ষের কাছে লিখিত আবেদন জানাতে নির্দেশ দিয়েছিল। তাই তাঁর অনুমতি ছাড়া কিভাবে সিবিআই তিনজন বিধায়ককে গ্রেপ্তার করলাে, তা নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করলেন রাজ্যের বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। 

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই যে রাজ্যপালের অনুমতিপত্রের উদাহরণ দেখিয়ে গ্রেপ্তার করেছে, তা পুরােপুরি বেআইনী বলে দাবি অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অধ্যক্ষের পদ খালি থাকলে রাজ্যপাল অনুমতি দিতে পারেন।

তবে এক্ষেত্রে তা হয়নি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই লিখিত আবেদন তাে দূরঅস্ত, তিন বিধায়ককে গ্রেপ্তারিতে জানাবার প্রয়োজনবােধ করেনি। 

তবে সিবিআইয়ের তরফে জানানাে হয়েছে। ‘৭ মে রাজভবনে রাজ্যপাল যে অনুমতি দিয়েছেন, তার আইনী সংস্থান রয়েছে ভারতীয় সংবিধানে’। উল্লেখ্য, আজ নারদা মামলায়। সিবিআই রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, ফিরহাদ হাকিম সহ তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে গ্রেপ্তার করেছে। যা নিয়ে তােলপাড় রাজ্য রাজনীতি।