• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

বাংলার চাষিরা আজ প্রথম কিস্তির টাকা পাবেন

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি কিষণ সম্মান নিধি যােজনায় আজ শুক্রবার দেশের কৃষকদের জন্য ১৯ হাজার কোটি টাকা অনুমােদন করতে চলেছেন।

প্রতীকী ছবি (Photo: iStock)

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি কিষণ সম্মান নিধি যােজনায় আজ শুক্রবার দেশের কৃষকদের জন্য ১৯ হাজার কোটি টাকা অনুমােদন করতে চলেছেন। ৯ কোটির চেয়ে বেশি কৃষক এই টাকা পাবেন।

সকাল এগারােটায় ভিডিও কনফান্সের মাধ্যমে কৃষকদের টাকা অ্যাকাউন্টে দেওয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘােষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী সেই সঙ্গে কয়েকজন কৃষকের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন। প্রত্যেক কৃষকের অ্যাকাউন্টে ১৮ হাজার টাকা করে ট্রান্সফার করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে এসে বলেছিলেন। 

পশ্চিমবঙ্গ সরকার সহায়তা না করায় আগের দু বছর ছয় হাজার টাকা করে বারাে হাজার টাকা বাংলার চাষিরা পাননি। সেকারণে এবছর আরও ছয় হাজার টাকা পাওয়ার কথা। সব মিলিয়ে ১৮ হাজার টাকা। 

বাংলা থেকে ২৭ লক্ষ কৃষক আবেদন করেছিলেন অনলাইন পাের্টালে। তবে রাজ্যের পক্ষ থেকে প্রয়ােজনীয় তথ্য না পাঠানােয় কেন্দ্র টাকা দিতে পারছে না বলে জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী গত সপ্তাহেই ২৭ লক্ষ কৃষকের প্রয়ােজনীয় তথ্য কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়েছেন। ফলে কত লক্ষ কৃষক আজ টাকা পাবেন সেদিকেও নজর থাকবে। অন্যান্য রাজ্যের কৃষকরা অবশ্য তাদের কিস্তির টাকা পাবেন কারণ তারা আগেই বেশ কয়েকটি কিস্তি পেয়েছেন। 

একুশে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রচারে প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, দলীয় রাজ্য সভাপতি থেকে সর্বভারতীয় সভাপতি প্রত্যেকেই বাংলার কৃষকদের তাদের পাওনা তিন বছরের সর্বমােট ১৮ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। 

ভােট মিটেছে, বিজেপির স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ভােটের ফলাফলে। তাই আর কোন টু শব্দ নেই কেন্দ্রীয় কৃষি অনুদান নিয়ে। তবে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। যাতে এই অর্থ এই রাজ্যের কৃষকরা পায়। কেন্দ্রীয় সরকারের কোন উত্তর আসেনি।

তবে নুতন দায়িত্ব পেয়েই কৃষি মন্ত্রী শােভনদেব চট্টোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের কিষাণ নিধি প্রকল্পে নথিভুক্তিকরণ-এর কাজ দ্রুত করার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর অধীনে থাকা দপ্তরকে। যেসব কৃষক এই প্রকল্পের অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন করাননি, তাদেরকে স্থানীয় কৃষি দপ্তর নাম নথিভুক্তিকরণে জোর দিচ্ছে।

বাৎসরিক ৬ হাজার টাকা হিসাবে বকেয়া তিন বছরে আঠারাে হাজার টাকা বাংলার চাষিরা পাবেন। অনলাইনে জমির পর্চা (খতিয়ান নাম্বার, দাগ নাম্বার), আধার কার্ডের নাম্বার, ব্যাংক একাউন্ট সহ বিভিন্ন তথ্য লাগে। তা রেজিষ্ট্রেশন হলে স্থানীয় কৃষি দপ্তরে ঘােষণাপত্রে উল্লেখ করতে হয়।