গােল্ডেন হাসপাতালের ঘটনার তদন্তে দিল্লি প্রশাসন বিশেষজ্ঞ কমিটি নিয়ােগ করা হয়েছিল। ওই কমিটির তরফে বলা হয়েছে, ‘অক্সিজেন ঘাটতির কারণেই যে রােগী মৃত্যু হয়েছে সেটা কোনওভাবে নির্ণয় করা সম্ভব নয়।
কেননা, ওই রােগীদের মধ্যে অনেকেরই কো-মর্বিডিটি ডিসিজ ছিল। কারুর একট কো-মর্বিডিটি ডিসিজ, কারুর একাধিক ছিল। তারা প্রত্যেকেই হৃদরােগ, ডায়াবেটিস, ডি এম, হাইপােথাইরয়েডিসম, হাইপার টেনশন সহ একাধিক কো-মর্বিডিটি ডিসিজে ভুগছিলেন।
প্রত্যেক রােগীই কোনও না কোনও উপায়ে অক্সিজেন থেরাপি নিচ্ছিলেন। কেউ ভেন্টিলেটর সাপাের্টে ছিলেন। আরও বলা হয়েছে, ওই হাসপাতালে সমস্ত রােগীকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত সাপ্লিমেন্টাল অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল।
মৃত রােগীদের একজনেরও কেস ফাইলেও কোথাও অক্সিজেন ঘাটতির কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা নেই’। গত মাসে দিল্লির জয়পুর গােল্ডেন হাসপাতালে ২১ জন কোভিড রােগীর মৃত্যু হয়েছে।
দিল্লি প্রশাসনের তরফে হাইকোর্টে জানানাে হয়েছে, শহরের জয়পুর গােল্ডেন হাসপাতালে অক্সিজেন ঘাটতির কারণে ২১ জন কোভিড রােগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযােগ উঠলেও বিশেষজ্ঞদের কমিটি তাদের রিপােটে কোথাও অক্সিজেনের অভাবে কোভিড রােগীর মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা নেই’।
দিল্লি প্রশাসনের তরফে জানানাে হয়েছে, কমিটি তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে শুধু মাত্রা জয়পুর গােল্ডেন হাসপাতাল দাবি করেছে অক্সিজেনের অভাবে ওই রােগীদের মৃত্যু হয়েছে।
হাইকোর্টের বিচারপতি বিপিন সাংঘী ও বিচারপতি রেখা পাল্লির নির্দেশের ভিত্তিতে দিল্লি প্রশাসন শহরের হাসপাতাল ও নার্সিংহােমগুলােকে অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে মৃত রােগীদের যাবতীয় তথ্য পেশ করতে। প্রফেসর (মেডিসিন) নরেশ কুমারের নেতৃত্বে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে অক্সিজেনের অভাবে রােগী মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল।