নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমাে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন প্রশ্ন, ভােটে পরাজিত হলেও কি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ায় কোনও বাধা থাকে? সংবিধান মতে, নির্বাচনে না জিতলেও মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে কোনও বাধা থাকছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
ভারতীয় সংবিধানের ১৬৪ (৪) নং ধারা অনুযায়ী, নির্বাচনে না জিতেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়া যায়। তবে মসনদে বসার ৬ মাসের মধ্যে তাকে অন্য কোনও আসন থেকে জিতে আসতে হবে। সুব্রত মুখার্জি এ বিষয়ে বলেন যে কোনও প্রতিনিধি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে পারেন।
তবে ছয় মাস পরেও তিনি কাজ চালিয়ে গেলে তাকে রাজ্যের কোনও একটি কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হয়। ২০১১ সালে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার সময়ও বিধায়ক ছিলেন না মমতা। পরে উপ নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন তিনি।
পরাজিত হয়েও মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসার নজির বহু রয়েছে। সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসেছেন তিরথ সিং রাওয়াত। তিনি নির্বাচিত বিধায়ক নন। ১৯৫২ সালে দেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন হয় পাশাপাশি বম্বেতেও বিধানসভা ভােট হয়। সেই সময় নির্বাচনে লড়াই করেও হারতে হয়েছিল দাপুটে কংগ্রেস নেতা মােরারজি দেশাইকে।
এরপর বম্বে কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। পরে মুখ্যমন্ত্রীর পদেও বসেন। পরবর্তীকালে ১৯৭০ সালে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলেন ত্রিভুবন নারায়ণ সিং। কিন্তু নির্বাচনে হারেন তিনি। ৬ মাসের জন্য গদিতে বসেছিলেন।
পরে অবশ্য উপনির্বাচনেও পরাজিত হন। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ২০০৯ সালে ঝাড়খণ্ডে পরাজিত হন শিবু সােরেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তিনি। ৬ মাস পর ফের মেয়াদ বাড়াতে চেয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত কংগ্রেসের চাপে পদত্যাগ করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় রাজ্যে।