আলমারিতে টাকা থাকলেও চোর ব্যাগ বােঝাই করে নিয়ে গিয়েছিল করােনা টিকা। বিষয়টি জানা যেতেই দেশজুড়ে সােরগােল পড়ে যায়। এদিকে রাতারাতি মন বদলে যায় চোরেরও। তাই পরদিনই ব্যাগসমেত ভ্যাকসিন ফেরত দিয়ে যায়। সঙ্গে পাঠায় একটি চিঠিও। তাতে লেখা রয়েছে–স্যরি, জানতাম না এটা করােনার ওষুধ।
বৃহস্পতিবার সকালেই জানা যায় হরিয়ানার জিন্দ জেলার একটি হাসপাতাল থেকে চুরি গিয়েছে করােনা ভ্যাকসিনের ১৭১০ টি ডােজ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা যায় বুধবার মধ্যরাতে দুই ব্যক্তি পাঁচিল টপকে হাসপাতালে ঢুকেছিল। তারাই আলমারি থেকে ওই ভ্যাকসিন চুরি করে বলে পুলিশের সন্দেহ হয়।
ঘটনার পরেই অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। অজ্ঞাতপরিচয় ওই দুই ব্যক্তির নামে অভিযােগও দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেই হাসপাতালের কর্মীরা এসে দেখেছিলেন সেন্টারের তালা ভাঙা।
উধাও হয়ে গিয়েছে ১৭১০টি করােনার ডােজ। এর মধ্যে ছিল কোভিশিল্ডের ১২৭০ টি ডােজ ও কোভ্যাক্সিনের ৪৪০ টি ডােজ। তবে অক্ষত ছিল পাশেই রাখা পােলিও ও অন্যান্য ভ্যাকসিন।
এমনকী পাশে রাখা ৫০ হাজার টাকাও নেয়নি চোররা। গােটা দেশজুড়ে ভ্যাকসিন চুরি নিয়ে হুলস্থূল পড়ে যেতেই চুরির দ্রব্য ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় চোর। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল দুপুর নাগাদ এক ব্যক্তি ব্যাগ নিয়ে সিভিল লাইন পুলিশ স্টেশনের বাইরে অবস্থিত চায়ের দোকানে আসে।
দোকানের মালিককে সে জানায়, পুলিশকর্মীদের জন্য খাবারের ডেলিভারি রয়েছে। তাকে অন্য একটি জায়গায় ডেলিভারিতে যেতে হবে। তাই এই ব্যাগটি যেন ভিতরে পৌছে দেওয়া হয়। ব্যাগ খুলতেই পুলিশকর্মীরা দেখেন অক্ষত রয়েছে সমস্ত ভ্যাকসিন। সঙ্গে হিন্দিতে লেখা একটি চিঠিও ছিল।
তাতে লেখা স্যরি এটা করােনার ওষুধ জানতাম না। চোরের এই পদক্ষেপে খুশি হলেও তাদের এখনও ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তাদের সন্দেহ রেমিডেসিভির ভেবেই ওই ভ্যাকসিনগুলাে চুরি করা হয়েছিল।
কিন্তু করােনা টিকা কালােবাজারে বিক্রি করা সমস্যা। তা বুঝতে পেরেই চোর ফেরত দিয়ে যায় টিকাগুলি।