শুক্রবার সকালেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ব্যাঙ্কে প্লাজমা দিয়ে এলেন ডা ফুয়াদ হালিম। একবার নয় কিন্তু গত এক বছরে এই নিয়ে সাত বার। এই রাজ্যে যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড।
চিকিৎসক ডা. অরিন্দম বিশ্বাসকে বললেন, শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে সাহায্য করে প্লাজমা। একবার কোভিড হয়ে সেরে যাওয়ার পরে কেউ প্লাজমা দান করতে পারেন। ডায়াবেটিস সহ কিছু রােগ থাকলে এটা দেওয়া যায় না। আবার একমাস ব্যবধান রেখে প্লাজমা দেওয়া জরুরি। তবে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে গােটা বিষয়টা করা যেতে পারে।
আরেক চিকিৎসক বলেন, “যে সমস্ত রােগীর স্টেরয়েড দিয়েও শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানাে যায় না। সেক্ষেত্রে প্লাজমা থেরাপি কাজ করে। তবে দাতা এবং গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ এবং প্লাজমা মিলিয়ে নিতে হবে। দাতার প্লাজমা পরীক্ষা করে তারপরেই দেওয়া যাবে। গ্রহীতার ইমিউনােগ্লোবিউল এলার্জি আছে কিনা দেখে নিতে হবে। প্লাজমা দেওয়ার পর বেশ কয়েক ঘন্টা রােগীকে নজরদারিতে রাখতে হবে।’
রাজ্যের ২০ টি হাসপাতালে আলাদাভাবে প্লাজমা ব্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে কলকাতায় রয়েছে সাতটি। সহজ ভাবে বলতে গেলে, অনেকটা ব্লাড ব্যাঙ্কের ধাঁচেই এই প্লাজমা ব্যাঙ্ক কাজ করে।
তবে যিনি এতবার প্লাজমা দিয়ে ফেললেন, সেই ফুয়াদ হালিম বলেন, ‘করােনার দ্বিতীয় ঢেউ যেভাবে আছড়ে পড়েছে তাতে প্লাজমা সংকট হতে খুব বেশি দেরি নেই। আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, একবার ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গেলে প্লাজমা দান করা যায় না। মানুষ প্লাজমা দিতে এগিয়ে না এলে এই নিয়ে যে গবেষণা চলছে তা থমকে যেতে পারে।