ভ্যাকসিন বন্টন নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকার সমালােচনা করে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিকে কড়া চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুললেন আঠেরাে বছরের উধ্বে গণটিকাকরণ নিয়ে এত দেরি সােমবারই কেন্দ্রীয় সরকার ঘােষণা করে পয়লা মে থেকেই এক থেকে আঠেরাে বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া হবে তৃতীয় দফায়।
তবে সেই টিকা কিনতে হবে। টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা খােলা বাজারেও সরাসরি বিক্রি করতে পারবে নির্দিষ্ট পরিমাণে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মােদিকে একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মমতার অভিযােগ, বিপদের সময় দায় এড়াচ্ছে কেন্দ্র। আঠেরাে বছরের উর্দ্ধ টিকা দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অনেক দেরিতে।
তাছাড়া কেন্দ্রের এই টিকাকরণ প্রকল্পে কালােবাজারি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এর ফলে গরিব মানুষরা টিকাকরণ থেকে বঞ্চিত হবে। শুধু তা-ই নয়, ভ্যাকসিন নিয়ে অবিলম্বে নয়া পরিকল্পনা নেওয়ারও জন্যও কেন্দ্রকে আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মূলত গণটিকাকরণের সিদ্ধান্ত দেরি করে নেওয়া হয়েছে বলেই অভিযােগ করেছেন মমতা।
এর আগেও জীবনদায়ী ওষুধের অপ্রতুলতা এবং ভ্যাকসিনের প্রয়ােজনীয়তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা। করােনার সমাধান আর ভ্যাকসিন চেয়ে এই নিয়ে তিনবার চিঠি লিখলেন মমতা।
এর আগেও করােনায় জীবনদায়ী ওষুধ রেমডিসিভির এবং টসিলিজুমারের অভাব নিয়ে জানিয়েছিলেন। কেন্দ্রের কাছে ছয় হাজার মেডিসিভির ভায়াল এবং এক হাজার টসিলিজুমাবের ভায়াল চেয়েছিলেন মমতা। কিন্তু সেই আর্জি পূরণ করেনি কেন্দ্র।
মঙ্গলবারের চিঠিতে মমতা লিখেছেন, ২৪ মার্চ তারিখে আমি একটা চিঠি দিয়ে কেন্দ্রকে অনুরােধ করেছিলাম, যাতে রাজ্য সরকার সরাসরি টিকা কিনে মানুষকে দিতে পারে তার জন্য ছাড়পত্র দিতে। সেই চিঠির কোনও উত্তর আসেনি।
মমতার কথায়, এরপর দ্বিতীয় তরঙ্গে যখন হু করে সংক্রমণ বাড়ছে, তখন কেন্দ্র অন্তঃসারশূণ্য বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব এড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় ঘােষণায় টিকার কার্যকারিতা, মান, সরবরাহ নিয়ে কোনও পথ দেখানাে