বহিরাগত শক্তির কাছে মাথা নােয়ায়নি শীতলকুচি। বশ্যতা স্বীকার করেনি বিজেপিরও। সে কারণেই কি চারজনকে গুলি করে মারা হয়েছে। রবিবার উত্তর দমদমের জনসভা থেকে এভাবেই বিজেপিকে নিশানা বানালেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, যাদের গুলি করে মারা হয়েছে তাদের হাতে কোনও অস্ত্র ছিল না। লাঠি বা কোনও ডান্ডাও ছিল না। তারপরও বুকে গুলি চালানাে হয়েছে। যদি আত্মরক্ষার জন্য গুলি করতেন তাহলে হাতে মারতেন, আকাশে গুলি করতে পারতেন। ভিড় ছত্রভঙ্গ হয়ে যেতাে কিন্তু তা না করে বুকে গুলি করা হয়েছে।
যে বা যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন কিংবা যার নির্দেশে এই ঘটনা তাদেরকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে। যড়ই মাথা থাকুক না কেনাে টেনে বার করবাে। নেতাই, নন্দীগ্রামের পর এ রাজ্যে এমন নৃশংসা গণহত্যার ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেন অভিষেক।
সেই সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ শীতলকুচি নিয়ে মন্তব্য করেছেন তারও তীব্র বিরােধিতা শােনা গিয়েছে অভিষেকের মন্তব্যে।
এদিকে দিলীপ ঘােষ বলেছেন, ভয় দেখিয়ে রাজনীতি করার দিন চলে গিয়েছে। ভয় উপেক্ষা করে মানুষ ভােট দিচ্ছেন। বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কিন্তু কেউ লাল চোখ দেখাতে পারবে না। আমরা আছি। আর যদি কেউ বাড়াবাড়ি করে শীতলকুচিতে যা হয়েছে আপনারা দেখেছেন। জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।
দিলীপের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে অভিষেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হাত জড়াে করে অনুরােধ করছি যদি আপনাদের বিবেক বলে কিছু থাকে তাহলে কাল সাংবাদিক বৈঠক করে তাকে দল থেকে বহিস্কার করে দেখান।