বাংলাকে এবার পাখির চোখ করেছে মােদি-শাহ। আর তাই প্রচারে খামতি রাখতে চাইছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। দ্বিতীয় দফার ভােটের দিনও রাজ্যে আসছেন মােদি। ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যে ফের ভােট প্রচার শুরু করছেন প্রধানমন্ত্রী। ওইদিন তাঁর দু’টি সভা রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর ও হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়।
যেদিন মােদি উলুবেড়িয়া ও জয়নগরে জনসভা করবেন, সেদিন রাজ্যে চলবে দ্বিতীয় দফার ভােটপর্ব। আর হাইভােল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামেও সেদিন ভােট। ফলে সেদিন রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দলীয় সূত্রে খবর, আগামী ১ এপ্রিল থেকে ভােট শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজ্যে আরও ১৫ টি জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। জয়নগর, উলুবেড়িয়া, আরামবাগ, কোচবিহার, সােনারপুর, শিলিগুড়ি, কল্যাণী, বর্ধমান, বারাসত, কৃষ্ণনগর, গঙ্গারামপুর, মুর্শিদাবাদ, আসানসােল, মালদহ ও দক্ষিণ কলকাতায় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী কর্মসূচি রয়েছে।
তবে দক্ষিণ কলকাতায় তিনি রােড শাে করতে পারেন। দক্ষিণ কলকাতায় ২৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে রােড-শাে করে গেরুয়া পালে ঝড় তােলাই লক্ষ্য বিজেপির।
প্রথমদিন অর্থাৎ ১ এপ্রিল উলুবেড়িয়ার বীরশিবপুরে আইআইএমএস কলেজ গ্রাউন্ডে জনসভা রয়েছে মােদির। আবার ৫ এপ্রিল টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপাে থেকে গড়িয়া মােড় পর্যন্ত রােড-শাে করতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। টালিগঞ্জ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র সমর্থনে এই রােড-শাে করবেন নাড্ডা। উত্তর কলকাতায় রােড-শাে করতে পারেন অমিত শাহ।
এদিকে, ২ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গে চারটি জনসভা করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কুলতলি, তারকেশ্বর, কালচিনি ও শীতলকুচিতে তাঁর সভাগুলি হবে। তারকেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী স্বপন দাশগুপ্তর সমর্থনে সভা করবেন শাহ।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২৪ মার্চ কাঁথির জনসভা থেকে বহিরাগত ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে তােপ দেগেছিলেন মােদি। তার আগে ২১ মার্চ বাঁকুড়ার সভা থেকে বলেছিলেন, বিজেপি চলে স্কিমে, তৃণমূল চলে স্ক্যামে। ভিড় উপচে পড়া বাঁকুড়া ও কাঁথির জনসভা থেকে এভাবেই রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। একইসঙ্গে শেষ কাঁথির সভাতেও উন্নয়নের স্বপ্নফেরি করেছিলেন।
১ এপ্রিল, রাজ্যের দু’টি জনসভা থেকেও তৃণমূলকে চাঁচাছােলা ভাষায় যেমন আক্রমণ শানাবেন, তেমনই উন্নয়নের স্বপ্ন-পদ্মা নিয়েই ভােটপ্রচারে অংশ নেবেন।