আর দু’দিন বাদে ‘২১-এর যুদ্ধের সব থেকে বড় লড়াই। মুখােমুখি হবেন মমতা শুভেন্দু। আর তার আগে শুভেন্দুকে তীব্র কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সােমবার পূর্ব মেদিনীপুরে ঠাকুরচকের সভা থেকে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে বললেন, ‘একদিন এমন অবস্থা হবে, না থাকবে ঘরকা, না ঘাটকা।’
প্রসঙ্গত, ১৮ দিন আগে নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে আহত হওয়ার পূরহ রবিবার নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ কী ঘটেছিল সেই প্রসঙ্গ টেনে আনেন। ওই দিন পুলিশের গুলি চালানাের ঘটনা নিয়ে একেবারে সরাসরি অঙ্কিারী পরিবারের দিকে আঙুল তােলেন তিনি। যা নিয়ে বিস্তর জলঘােলা হয়েছে।
সােমবার ফের একই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সভা থেকে ফেরা তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ৪১ জনের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা চালু করা হয়েছে। তাদের মধ্যে শেখ সুফিয়ানের নামও রয়েছে। কিন্তু ওই গদ্দারদের নাম নেই। কেন নেই? কারণ ওরা আন্দোলনের সময় ছিলই না।
মমতার দাবি, স্মরণীয় সেই ১৪ মার্চ শেখ সুফিয়ানকে ডেকে এনেছিলেন শুভেন্দু কিন্তু আন্দোলনে শামিল হননি। অর্থাৎ ফের তৃণমূল নেত্রী দাবি করলেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনে অধিকারী পরিবারের কোনও ভূমিকাই নেই। এদিনের সভায় ফের আবেগপ্রবণ হয়ে যান মমতা। নাম না করেই শুভেন্দুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কী দিইনি? আমার ভালবাসার নন্দীগ্রাম দিয়েছিলাম। ক্ষমতা দিয়েছিলাম। এক পরিবারের সবাই কোনও না কোনও সরকারি পদে ছিলেন। এত কিছুর পরও ওই গদ্দাররা বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাল।
তৃণমূল নেত্রী বলেন, রবিবার বিরুলিয়ায় তাঁর সভা শেষ হতেই ওই এলাকায় হামলা চালিয়েছিল বিজেপি। অভিযােগ, এই হামলার নেপথ্যে শুভেন্দুই। মমতার কথায়, ‘যাদের হেরে যাওয়ার ভয় থাকে তারাই এভাবে হামলা করে। ম্যাচ শুরুর আগেই হেরে বসে আছে। তাই এসব করছে?’ এরপরই কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তৃণমূল সুপ্রিমাে বললেন, ‘একদিন ওদের না ঘরকা, না ঘাটকা অবস্থা হবে। সেদিন বুঝতে পারবে কী হয়েছে।’